ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভক্তদের শোক সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেতা আব্দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদের আর নেই। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি প্যানক্রিয়াসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি।

মৃত্যুকালে আব্দুল কাদেরের বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইতে নেওয়া হয় তাকে। ১৫ ডিসেম্বর তার ক্যানসার ধরা পড়ে। তখন থেকেই আবদুল কাদেরের অবস্থা ছিল। ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ায় তার শারীরিক অবস্থা ছিল দুর্বল। তাই তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া সম্ভব হয়নি।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার পর আবদুল কাদেরের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে।

১৯৫১ সালে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদের। তাঁর পিতার নাম আবদুল জলিল। মাতা আনোয়ারা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করা আবদুল কাদের সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে যোদ দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘বাটা’-তে ৩৫ বছর চাকরি করেছিলেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকে নাটকের সঙ্গে জড়িত আবদুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল ছাত্র সংসদের নাট্য সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নাট্যচক্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭২ সালে টেলিভিশন নাটকে অভিষেক ঘটে তার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অমল চরিত্রে প্রথমবার অভিনয় করে তিনি আলোচনায় আসেন।

তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে
‘সাত গোয়েন্দা’, ‘এক জনমে’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘আগুন লাগা সন্ধ্যা’, ‘প্যাকেজ সংবাদ’, ‘সবুজ ছায়া’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘নীতু তোমাকে ভালোবাসি’, ‘মোবারকের ঈদ’, ‘বহুরূপী’, ‘এই মেকআপ’, ‘ঢুলি বাড়ি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘মাটির কোলে’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘শীর্ষবিন্দু’, ‘সবুজ সাথী’, ‘তিন টেক্কা’, ‘যুবরাজ’, ‘আমাদের ছোট নদী’, ‘দুলাভাই’, ‘অজ্ঞান পার্টি’, ‘খান বাহাদুরের তিন ছেলে’।

পাঠকের মতামত: