ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সহিংসতার শঙ্কা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বাড়ানোর দাবী

image_152081_0চকরিয়া অফিস :

আগামী ২৩ এপ্রিল চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ ভোটারদের। সবধরণের প্রচার প্রচারণা শেষ করেছে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের তিন হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী। ইতোমধ্যে তারা নির্বাচনী কর্মকান্ড নিয়ে অনেকটা ব্যস্থ সময় পার করছেন। কিন্তু এই উৎসবমুখর পরিবেশের অন্তরালে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম ছালাহউদ্দিন। প্রার্থী ও ভোটারদের মনে অজানা, অদৃশ্য এক আতঙ্ক যেন ছড়িয়ে পড়ছে চিরিঙ্গা ইউপি নির্বাচন নিয়ে।

আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম ছালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চৌধুরী জামালের পক্ষে চরণদীপ এলাকার ৮নং ওয়ার্ড ও ৯নং ওয়ার্ডের দুটি ভোট কেন্দ্র দখলে নেয়ার জন্য অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী জড়ো করেছে। গত দুদিন ধরে সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় অস্ত্রে নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। মুলত ভোট ডাকাতির জন্য সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছেন।

তিনি জানান এসব বিষয়ে প্রশাসন বা রির্টানিং অফিসারকে অবহিত করলেও তারা নজরে আনছে না। উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এক নেতার ইশারায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ওই এলাকায় যাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন।

চিরিঙ্গা ইউনিয়নে সর্বত্র এখন শনিবারের নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কায় ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম ছালাহউদ্দিনের ছোট ভাই অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ মানুষ তাদের ভোটটি সুষ্ঠুভাবে দিতে পারবে কি না-এ নিয়েই শঙ্কা রয়েছি। ইতোমধ্যে ‘একটি পক্ষ’ বিভিন্ন স্থানে তাদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, তারা সন্ত্রাস ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে নেবে। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের জসিম উদ্দিন ও অপর আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী চৌধুরী জামাল তারা দুইজনই সন্ত্রাসীদের লিডার বলে অবহিত করেছেন। তাদের কয়েখদিনের আচরণের চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সহিংসতার আশঙ্কা করছি।

এদিকে কেএম ছালাহউদ্দিন বলেন, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান বহু সন্ত্রাসীকে অনুসারী বানিয়েছেন। এদের মাধ্যমে তিনি অস্ত্র, চিংড়িঘের দখল ও ডাকাতি করান। তার অভিযোগ, নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য জসিম চেয়ারম্যান ও চৌধুরী জামাল আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের চিরিঙ্গা ইউনিয়নে জড়ো করছেন। ফলে নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। অনেক ভোটার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বলেন, চিরিঙ্গা ইউনিয়নে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড ভোট ডাকাতির চেষ্টা চালাতে পারে। তাদের সেই অপচষ্টো ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা হবে বলে তারা জানান।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চিরিঙ্গা ইউনিয়নের রির্টানিং অফিসার মো: সাখাওয়াত জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসন সক্রিয়। নির্বাচনী আচরণবিধি যেন কোনভাবেই লঙ্ঘিত না হয় সে লক্ষ্যে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ভোটের দিন র‌্যাব, পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যরা মাঠে থাকবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: