ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মোকাবেলায় মাঠে থাকার ঘোষণা আওয়ামী লীগের

হেফাজতের মাঠে নামার প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং মূর্তি ইস্যুতে হেফাজতে ইসলাম পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে ঢাকায় শীর্ষ আলেমদেও বৈঠক ডেকেছে কাল শনিবার।এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দেশের শীর্ষ আলেম ও মুফতি’দের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘পূজার উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা না হলেও ভাস্কর্যকে ‘সন্দেহাতীতভাবে নাজায়েজ ও স্পষ্ট হারাম’ বলে উল্লেখ করেছেন কয়েকজন ওলামা মাশায়েখ।

তারা বলছেন, অন্য কোনো মুসলিম দেশে ভাস্কর্য থাকলেও সেই উদাহরণ দিয়ে ভাস্কর্যকে জায়েজ করা যাবে না । এসময় তারা ভাস্কর্য হারাম বলেও ফতোয়া জারি করেন। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও কৌশলে ভাস্কর্যের পক্ষে ওলামা দলকে দিয়ে মাওলানাদের একটি নতুন প্লাটফর্ম গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির আওয়ামীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কড়া ভাষায় বলেছেন, একদিকে গুজব আরেকদিকে ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আসলে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক আছেন। এখানে আর সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। একইসঙ্গে সরকারও এগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করবে।’

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের মাঠে না নামতে দেয়ার। দলটি তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে এরইমধ্যে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। আর কৌশল হিসেবে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি অব্যাহত রেখেছে।
হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তারা দেশের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনকে তাদের দাবির সঙ্গে যুক্ত করতে চান। তার আগে তারা ঢাকায় বড় ধরনের কোনো সমাবেশ করবেন না। এ কারণেই শনিবার তারা ঢাকায় শীর্ষ আলেম ওলামাদের সঙ্গে পরামর্শ সভা ডেকেছেন। ওই সভায় চরমোনাইর নেতারা ছাড়াও আরো অনেক ইসলামিক নেতাকে রাখার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের দাবি অনেক ধর্মীয় নেতারা তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাচ্ছেন। সভায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। আর মূর্তির বিষয়ে ইসলামের ভাষ্য নিয়ে তারা একটা যৌথ বিবৃতি দেবেন। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের যে দাবি উঠেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংঠনগুলোর কাছ থেকে, সে ব্যাপারেও নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হবে।
বৈঠকটি ডেকেছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বা বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড। আর কওমি মাদ্রাসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতের আমীর মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী তাকে দিয়ে কৌশলে এই বৈঠক ডাকিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হলো কওমিপন্থিদের বাইরের মাওলানাদেরও দাবির ব্যপারে এক জায়গায় নিয়ে আসা।

পাঠকের মতামত: