ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির নবীণ-প্রবীণ ১৭ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে-সকলের দাবি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন

Chakaria Picture (B.N.P, U.P)ছবিব ক্যাপশন :::চকরিয়ায় দুই দফায় অনুষ্টিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৭ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে আগামী ২৩এপ্রিল। ইতোমধ্যে উপজেলার চিরিঙ্গা, বরইতলী, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, বমুুবিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, সাহারবিল, হারবাং ও বরইতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে আগামী ৭ মে অনুষ্টিত হবে উপজেলার উপকুলীয় পশ্চিম বড়ভেওলা, পুর্ববড় ভেওলা, বদরখালী, কোণাখালী, ঢেমুশিয়া, বিএমচর ইউপির নির্বাচন। এ ছয়টি ইউনিয়নে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও এখনো তাদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়নি। তবে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া হলেও দলের নীতি নির্ধারক মহলের অদুর্শিতা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনীহার কারনে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী দেয়া হয়নি। তবে যেসব ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ইউনিয়নে প্রবীণ নেতাদেরকে মুল্যায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি চেয়ারম্যান পদে কয়েকটি ইউনিয়নে সহযোগি সংগঠনের তরুন বেশ ক’জন নেতাকে নবীণ প্রার্থী করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, কয়েকটি ইউনিয়নে দলের বেশি জনপ্রিয় ও বর্তমান কয়েকজন চেয়ারম্যানকে পাশ কাটিয়ে বিএনপির স্থানীয় নীতিনির্ধারক মহল সেখানে নতুন প্রার্থী দিয়েছেন। এ কারনে এবার সেইসব ইউনিয়নে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থীরা সহজে ধরাশয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। তারমধ্যে উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মানিক, সাহারবিল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ আবদুল হাকিম দলের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে অবমুল্যায়িত হয়ে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। তৃনমুলের দুটি ইউনিয়নে সাধারণ নেতাকর্মী ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই দুই ইউনিয়নে এখনো জনপ্রিয়তায় শীষে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মানিক ও আলহাজ আবদুল হাকিম। পক্ষান্তরে সাহারবিল ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী নুরুল আমিন চৌধুরী কিছুটা অগ্রগামী হলেও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী আবু তালেব চৌধুরী এখনো জনসর্মথন ভাগে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন।
উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে যাঁরা চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা হলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মাওলানা এহেছানুল করিম, হারবাং ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছাবের আহমদ, কাকারা ইউনিয়নে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম ছাবু, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে তরুন বিএনপি নেতা সাইফুল কবির চৌধুরী, বরইতলী ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল আহমদ সিকদার, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন চৌধুরী, খুটাখালী ইউনিয়নে যুবদল নেতা আনিসুর রহমান, সাহারবিল ইউনিয়নে বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চৌধুরী, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মতলব, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী, পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নে মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেফাজেতুর রহমান টিপু, বদরখালী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা আহসানুল কাদের শাব্বির, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম জিকু, বিএমচর ইউনিয়নে মাতামুহুরী যুবদলের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে মাতামুহুরী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল আরিফ দুলাল ও কোণাখালী ইউনিয়নে মাতামুহুরী যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল হাসান হান্নান।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া বরইতলী ইউনিয়নের প্রার্থী জালাল আহমদ সিকদার, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন চৌধুরী, পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের প্রার্থী হেফাজেতুর রহমান টিপু ও কোণাখালী ইউনিয়নের প্রার্থী ইমরুল হাসান হান্নান বলেন, চারদলীয় জোট সরকার আমলে অভুতপৃুর্ব উন্নয়নের কারনে চকরিয়া উপজেলার মাটি ও মানুষের সাথে এখনো বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমদের আত্মার সর্ম্পক রয়েছে। তাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হলে এখানে বিএনপির প্রার্থীরা বেশির ভাগ ইউনিয়নে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। এই জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্টানের জন্য দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: