ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একশত সয্যায় উন্নীত

চকরিয়া হাসপাতালে সেবাপাবে ১৫ লাখ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দে একশত সয্যায় উন্নীত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের আধুনিকায়নে উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এঅবস্থায় রবিবার ১৮ অক্টোবর দুপুরে হাসপাতালের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসেছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ার। নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জনাব মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ার। পরির্দশনের আগে হাসপাতাল করিডোরে জাতির পিতা মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।

চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী সরকার দেলোয়ার হোসেন, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারি প্রকৌশলী মোরশেদুল আলম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল করিম। এছাড়াও সভায় হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় এমপি জাফর আলম বলেছেন, চকরিয়া উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্ভাবনায় জনপদ। এই জনপদে ৬ লাখ মানুষের বসবাস। এত পরিমাণ জনগনের একটি উপজেলায় অতীতে চিকিৎসাখাতে চরম নাজুক অবস্থা ছিল। তবে বর্তমান সরকারের সফল উদ্যোগের কারনে ইতোমধ্যে সারাদেশের মতো চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় চিকিৎসাখাতে অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে।

প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ার বলেন, চকরিয়া উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করতে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখানে নতুন ভবনটি করা হয়েছে চার তলা বিশিষ্ট। হাসপাতালটি একশত সয্যায় উন্নীত হওয়ায় চকরিয়া উপজেলা ছাড়াও আশপাশের অন্তত ১৫ লাখ মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পাবে।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারি প্রকৌশলী মোরশেদুল আলম বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিসিএল ম্যাগ জয়েন্ট ভ্যান্সার কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালের নতুন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে পাঁচটি আধুনিকমানের নতুন ভবন।

তিনি বলেন, হাসপাতালের একশত সয্যায় উন্নীতকরণে সাততলা ফাউন্ডেশনে ৪তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন, হাসপাতালের তত্তাবধায়কের বাসা, ৫তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার, ৫তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের নার্স কোয়ার্টার ও ডক্টরস কোয়াটার। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে গাড়ির রাখার গ্যারেজ এবং চালক হাউজ। কাজের গুনগতম মান ঠিক রেখে স্বচ্ছতার মাধ্যমে নির্মাণ কার্যক্রম সমাপ্ত করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারি রয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: