ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন ১৫ নভেম্বর

বিনোদন ডেস্ক ::
সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন ১৫ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। সেজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান মামলার নথি পর্যালোচনা করে নতুন ওই দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, মামলার বাদী গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী, রোববার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল।

গত ২৪ অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।

প্রতিবদনে তিনি উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে কোনো মানহানিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেননি। ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলা করেন স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পরিদর্শককে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

শমী কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন এবং অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমন বক্তব্যের জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন শমী কায়সার। ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিও দেয় সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন।

পাঠকের মতামত: