ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ওসি প্রদীপের নির্যাতনে সাংবাদিক ফরিদুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::  মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় বরখাস্তকৃত টেকনাফের ওসি প্রদীপ বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। পায়ুপথে রক্তক্ষরণ, বুক, মাথাসহ সর্বাঙ্গে ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া ডায়াবেটিস ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান সাংবাদিক ফরিদের স্ত্রী হাসিনা বেগম। ৬টি মিথ্যা মামলায় ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর গত ২৭ আগস্ট জামিনে মুক্ত হন ফরিদ।

ফরিদের স্ত্রী জানান, কারাগার থেকে বের হওয়ার পর কয়েক দিন কিছুটা ভালো থাকলেও বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিচ্ছে। সারাদিন হাসপাতালের বেড়ে পড়ে আছেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বশীল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দফায় দফায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এক বছর আগে তার হাত-পা গুঁড়িয়ে দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে যে আঘাত করা হয়েছে তা পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে। তবে তার জন্য আরও উন্নত চিকিৎসারও দরকার রয়েছে; যা কক্সবাজার থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।

সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের বড় ভাই সাংবাদিক গোলাম আজম খান জানান, কারামুক্তির পর তার প্রতি যারা অন্যায় করেছে এদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা এবং গণমাধ্যমে প্রায়ই সব কথা উঠে আসায় প্রতিপক্ষরা এখনও তাদের সেই খুন, গুম ও হামলা-মামলার হুমকি পাঠাচ্ছে।

কাজেই তারা সপরিবারে একদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, অপরদিকে এতগুলো মিথ্যা মামলার দুঃশ্চিন্তা, আর্থিক অভাব-অনটন ও মাথা গোঁজার ঠাঁইসহ ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

ফরিদের আত্মীয়স্বজনদের দাবি, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কলম ধরতে গিয়ে ওসি প্রদীপ ও তার লালিত-পালিত বাহিনীর কাছ থেকে তিনি যে জুলুমের শিকার হয়েছেন তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

একই সঙ্গে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, আইনশৃংখলা বাহিনী, সব গোয়েন্দা সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রত্যাশা করেছেন তার নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সাজানো অস্ত্র-মাদকসহ সব মামলা যেন প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসাসেবা এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে মাথা গোঁজার স্থান পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: