ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের হামলায় ৫ গ্রামবাসী আহত, বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট

ফারুক আহমদ ::
উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় নারীসহ পাঁচজন স্থানীয় গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। এ সময় উগ্র রোহিঙ্গারা বসতবাড়ি তাÐবলীলা চালিয়েছে ভাঙচুর সহ অসংখ্য ফলজ গাছ ও সবজি ক্ষেত গুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রামবাসী ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুপালং ১ নম্বর ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অর্ধশত পরিবার যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। তারা সবাই বাংলাদেশী নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা।
অভিযোগে প্রকাশ , জায়গা জবর দখল করার করার কুমানসে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য উগ্র রোহিঙ্গারা পরিকল্পনা করে আসছিল ।
স্থানীয় বাসিন্দা মৃত ফকির আহমদের পুত্র হামিদুল হক অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার ও মঙ্গলবার সশস্ত্র রোহিঙ্গারা ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বসতবাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। গুড়িয়ে দেয়া হয় শাক সবজির ক্ষেত খামার। শুধু তাই নয় শত শত সুপারি, নারিকেল, আম জাম, কাঁঠাল ও কলাগাছ নির্বিচারে কর্তন করা হয়। এ সময় বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত হন গ্রামবাসী মুজিবুল হক (৫২) সৈয়দ আলমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩০) জন্নতুল ফেরদৌস (১৬) ও ছেলে আল আমিন (১২)।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি ফয়েজ, আবু তাহের, জহির ও বশরের নেতৃত্বে মারধর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান জানান, বাপ দাদার আমল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে আমরা কুতুপালং এলাকায় বসবাস করে আসতেছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা আজ আমাদের বসতভিটা জবর দখল করতে গত দু’দিন ধরে হামলা ও ভাঙচুর সহ তান্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে।
আয়েশা খাতুন ও হাজেরা খাতুন বলেন সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের নিকট আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি।
ভুক্তভোগী অনেক পরিবার অভিযোগ করে বলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জকে ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
হামলার শিকার স্থানীয় গ্রামবাসীরা বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিতে গিয়েও ফেরত আসতে হয়েছে।
বর্তমানে রোহিঙ্গাদের নিকট স্থানীয় গ্রামবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার নিকট জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

পাঠকের মতামত: