ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফাঁসিয়াখালীতে বিএনপি প্রার্থীকে প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ ।। চকরিয়ায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি

f7be87c00d368bbee1fe56de9c70a2e8চকরিয়া প্রতিনিধি ।।

চকরিয়ার উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন মো. আওরঙ্গজেব বুলেট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মানিকের কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ছিকলঘাট ও জিদ্দাবাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলাকালে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুইপক্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে দাবি করা হলেও শুক্রবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আহত কারো নাম নিশ্চিত করতে পারেনি কোনপক্ষ। পুলিশ দুইপক্ষে গোলাগুলির ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তারা আহত হওয়ার কোন সংবাদ পায়নি বলে জানিয়েছে।

এদিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এহেছানুল করিম অভিযোগ করেছেন, তিনি ভোটের প্রচারণা চালানো তো দূরের কথা, নিজ বাড়ি থেকেও বের হতে পারছেন না। তিনি জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বের হলেই তার ওপর হামলার আশঙ্কা থাকায় বাড়িতে জিম্মি অবস্থায় সময় কাটছে তার। তার আরও অভিযোগ, ভাইবোনসহ তার স্বজনেরা তার পক্ষে প্রচারণা চালাতে গেলেই সরকার দলের প্রার্থীর ক্যাডারেরা তাদের ওপর হামলে পড়ছে। এনিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে একাধিকবার অভিযোগ করেও তিনি কোনও প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন। একইভাবে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা কক্সবাজার জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন মোহাম্মদ শাহেদও একই অভিযোগ করেছেন। এদিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী এহেছানুল করিমকে নজরবন্দি করে রাখা, প্রতিনিয়ত তার কর্মীসহ পরিবার সদস্যদের ওপর আক্রমণ এবং প্রচারণা চালাতে বাধা দেওয়া ছাড়াও পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় গতরাতে বিএনপির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। তিনি দৈনিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আমার এলাকার কোথাও এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে কেউ বলতে পারবে না। যারা এসব উদ্ভট অভিযোগ করছেন তারা সাক্ষীও যোগাড় করতে পারবে না।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহেদুল ইসলাম দৈনিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আমার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলে তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ধরনের নির্বাচনী সহিসংতা দমনে নির্বাচনী মাঠে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।’

 

পাঠকের মতামত: