ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় সরকারের জমিতে বনায়ন না করে ঘর নির্মাণ করছে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক !

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের অধীন চকরিয়ার বরইতলী বনবিটের সামাজিক বনায়নে (বেত বাগান) বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপকারভোগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বনায়ন করতে সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ প্রাপ্ত এসব জায়গায় গত তিনদিন ধরে টিন দিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ।

সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বরইতলী ইউনিয়ন এলাকায় সড়ক লাগোয়া বনবিভাগের সামাজিক বনায়নে কয়েকজন মিস্ত্রি দিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এসময় তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, সামাজিক বনায়নের মালিক বরইতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও চকরিয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তছলিম উদ্দিন চৌধুরী।

তার ভাই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পরিচয়দানকারী মোসলেহ উদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে চলছে এ ঘর নির্মাণ কাজ। তিনি বড় গলায় বলেন, ঘর নির্মানের বিষয়টি নিয়ে লিখলে কিছু হবেনা। অনেক তদবীর করে এই সামাজিক বনায়ন পেয়েছি। ঘর নির্মাণের জন্য বিট অফিসারকেও ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি।

বরইতলী বনবিটের সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে বলেন, সামাজিক বনায়ন পেয়ে উপকাভোগীরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু কিছু উপকারভোগী লোভের বশবর্তী হয়ে সরকারী এসব জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অপচেষ্টা চালায়।

এসব বিষয়ে বনবিভাগের কিছু অসাধু ও দুস্কৃতিকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আতাঁত রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
সামাজিক বনায়নের নিয়মনীতি লঙ্গন করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও অংশিদারিত্বমুলক সামাজিক বনায়নের মালিক কিভাবে হলেন এ বিষয়েও অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।

সামাজিক বনায়নে ঘর নির্মাণ বিষয়ে জানতে বরইতলী বনবিটের বিট কর্মকর্তা প্রদীপ দাশের কাছে জানতে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখব। সামাজিক বনায়নে কেউ ঘর নির্মাণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: