ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় শেষমুর্হুতে কোরবানির পশুর হাটে জমজমাট বেচাকেনা, লঙ্ঘন হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে আগামী পহেলা আগস্ট শনিবার। ইতোমধ্যে সরকারি সিদ্বান্তক্রমে ঈদুল আযহার দিনক্ষন ঘোষনা করা হয়েছে। ঈদের দিনক্ষন ঘনিয়ে আসার শেষমুর্হুতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁিক থাকলেও তা উপেক্ষা করে বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং অনুমোদন ছাড়া অন্তত ২৫টি কোরবানি পশুর হাটে বেচাকেনা পুরোদমে জমে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বেশিরভাগ কোরবানির পশুর হাটে বেড়েছে ক্রেতা সমাগম। স্থানীয় প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি পশুর হাটে জনসমাগমের বিধিনিষেধ থাকলেও দৃশ্যত ক্রেতা সাধারণ তা লঙ্ঘন করে চলছেন। পশুর হাটে চলাফেলায় অনেকের নেই শারীরিক দূরত্ব সম্পর্কে কোন ধারণা। বেশিরভাগ পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে সচেতন করতে ইজারদারপক্ষথেকে মাইকিং করা হলেও মুখে মাস্কবিহীন ভাবে শারীরিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করে কোরবানির পশুর হাট বাজারে গুলোতে ঘুরছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

করোনা পরিস্থিতিতেও বেশ জমে উঠেছে চকরিয়া পৌরসভার বাসটার্মিনাল, ঘনশ্যামবাজার, মগবাজার কমিউনিটি সেন্টার মাঠ, ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, সাহারবিল পরিষদ বাজার, বদরখালী বাজার, ডুলাহাজারা স্টেশন বাজার, খুটাখালী স্টেশন বাজার, হারবাং স্টেশন বাজার, বেতুয়া বাজার, বরইতলী গরুবাজারসহ অন্তত ২৫টির বেশি কোরবানীর পশুর হাট। প্রতিবারের মতো এবারও সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছে ইলিশিয়া জমিলা বেগম স্কুল মাঠে। প্রতিটি পশুর হাটে বসানো হয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন। পাশাপাশি ইজারাদার পক্ষের লোকজন পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে সর্তক করতে মাইকিং করছেন। বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশু বেচাকেনা করুন।

তবে উপজেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে দেখা গেছে, হাটগুলোতে মাক্স, হেন্ডগ্লাব্স ছাড়াই দুরত্ব না মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা পশু বেচাকেনা করছেন। এতেকরে পশুর হাটগুলোতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরী হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন মোকাবিলায় কোরবানি পশুর হাটগুলোতে সবধরণের সুরক্ষামুলক উদ্যোগ নিতে আগে থেকে বাজার ইজারদার সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে সজাগ ও সচেতন হতে হবে। তারপরও প্রশাসনের পক্ষথেকে পশুর হাটগুলোতে নজরদারি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের প্রমান পেলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হচ্ছে। #

পাঠকের মতামত: