ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইয়াবা কারবারি রক্ষায় ওসির নাম ভাঙিয়ে চাঁদা নেয় চৌকিদার! ৩ প্রতারক আটক টেকনাফে

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ::  কক্সবাজারে ইয়াবা বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান জোরদার করায় সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ইয়াবা কারবারিদের রক্ষার নামে প্রতারক, চাঁদাবাজ ও দালালের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে। এমনকি ইয়াবা কারবারিদের তালিকাভুক্ত না করা, কথিত বন্দুকযুদ্ধ থেকে রেহাই পাইয়ে দেয়াসহ থানা থেকে আটক কারবারিদের ছাড়িয়ে নেয়ার আশ্বাসে চলছে চাঁদাবাজি। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেকনাফের হ্নীলা এলাকা থেকে প্রতারক তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রতারকদের মধ্যে একজন গ্রাম পুলিশও (চৌকিদার) রয়েছে। টেকনাফ থানা পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদাবাজির দায়ে আটক হওয়া তিন প্রতারক হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পাড়ার বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে ফরিদ আলম (৩২), মৃত হামিদ আলীর ছেলে আব্দু শুক্কুর (৪৭) এবং আলী হোছনের ছেলে হ্নীলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. আলম (৩৩)।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইয়াবা কারবারিদের রক্ষার নামে সমাজের অনেক নামীদামী মানুষ এবং বিভিন্ন পেশাজীবী পরিচয়ে প্রতারণায় নেমেছে।

অপরদিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালির বাসিন্দা নুরুল আমিন নামের একজন মাইক্রোবাসচালকের থেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে একই এলাকার এক ব্যক্তি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিজের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আদায় করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নুরুল আমিনের স্ত্রী ছালেহা বেগম এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মাইক্রো চালক নুরুল আমিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ক্রসফায়ার দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হেলাল উদ্দীন চাঁদা আদায় করে নিয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি আরো জানান, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনাফকে মাদক মুক্ত করার জন্য থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু চক্র ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধী ও নিরপরাধী ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজন প্রতারক চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা তিনজনই পুলিশের কাছে অকপটে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরো বলেন, আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে তিনজন অসাধু চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে পুলিশের নাম ভাভিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করতে সাহস না পায়।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দ্দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কক্সবাজারকে মাদক নির্মূল করতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: