ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতিক খুঁটি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ::  চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া মেধা কচ্ছপিয়ার জাতীয় উদ্যান এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। অথচ এ অংশের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাখা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে ব্যস্ততম এই মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নস্থ মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের মাঝখানে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাতায়াতের মহাসড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহন। ব্যস্ততম এ মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে বিদ্যুতের খুঁটি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মহাসড়কের উপর বৈদ্যুতিক খুঁটি চলে আসায় এ অংশে কয়েকদিন ধরে ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা।

যাত্রীবাহী যানবাহনের একাধিক চালক জানিয়েছেন, সড়কের পাশে এভাবে বিদ্যুতের খুঁটি রাখায় তাঁরা অনেক সময় দেখতে পান না। ঝুঁকি এড়াতে ওই অংশে গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হয়। তবে এটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।
এনজিও কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, এমনভাবে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো রাখা হয়েছে মহাসড়কের উপরে চলে আসছে। শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসতে ওই স্থানে বৃষ্টির তীব্রতায় একটি খুটির মাথা দেখা যায়নি। ফলে তার সাথে ধাক্কা লেগে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিটকে পড়ে। এতে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া তিনি নিজেও আঘাতপ্রাপ্ত হন।
স্থানীয় মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম উল্লাহ বলেন, মহাসড়ক কিনারায় ঝুকিপূর্ণ ভাবে বিদ্যুতের খুটি রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমনি মেধাকচ্ছপিয়ার এ পয়েন্টটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। তার উপর মহাসড়কের উপর খুটি রাখা আরো বিপজ্জনক হয়ে দাড়িয়েছে। তড়িৎ গতিতে বিষয়টি নজর না দিলে এটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
ফুলছড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া বলেন, মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের মাঝখানে মহাসড়ক কিনারায় বিদ্যুৎ খুটি রাখার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। ঝুকিপূর্ণ ভাবে কেউ এ কাজ করে থাকলে তাহলে অবশ্যই এগুলো অপসারণ করে নিরাপদ স্থানে রাখা উচিৎ।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম আক্তারুজ্জামান লস্কর বলেন, বর্তমান সরকার আমলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের কাজ চালু থাকায় মহাসড়কের পাশে খুঁটিগুলো রাখতে হয়েছে। তবে খুটিগুলো পল্লী বিদ্যুত সমিতির নাকি পিডিবি’র এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যপারে পিডিবি কক্সবাজার’এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গণি জানান, এখনই বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। দ্রুত বিষয়টির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: