ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় লক্ষ্যারচর কৈয়ারবিল ও কোনাখালীতে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচীর সহায়তা হিসাবে টাকা বিতরণ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী (ডব্লিউএফপি)অর্থায়নে খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি কর্তৃক দেওয়া দ্বিতীয় দফায় সোমবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও কোনাখালীতে জনপ্রতি ৪ হাজার ৫শত টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। গত ১২ জুলাই থেকে চকরিয়া উপজেলায় ১৮ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৭ কোটি ৪২লাখ ৫০হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া)’র এমপি জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ সার্বিক সহযোগিতায় এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডব্লিউএফপি অর্থায়নে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সুষ্টুভাবে এ কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করছে চকরিয়ার বেসরকারী সংস্থা এসএআরপিভি (সোসাল এ্যাসিস্ট্যান্স এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দি ফিজিক্যালি ভালনারেবল)।

করোনাকালে কর্মহীন হয়ে যাওয়া পরিবারের মধ্যে চকরিয়ায় ১৬হাজার ৫শত হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে দ্বিতীয় দফায় ৭ কোটি ৪২লাখ ৫০হাজার টাকার এই নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে এই একই কর্মসুচীর আওতায় এসেছে ৫ হাজার ৫শত হত দরিদ্র পরিবার। ১২ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় নগদ অর্থ বিতরণের কাজ চলছে। শুরুতেই এই নগদ অর্থ বিতরণ কর্যক্রম উদ্বোধন করেন চকরিয়া পেকুয়ার মাননীয় এমপি জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ।

সোমবার ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত খুব সুন্দরভাবে সামাজিক দুরত্ব বাজায় রেখে চকরিয়া লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও কোনখালী ইউনিয়নে খাদ্য সহায়তা প্রদানের অংশ হিসাবে নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

চকরিয়ায় ১৬হাজার ৫শত উপকারভোগী পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে জনপ্রতি ৪ হাজার ৫শত টাকা করে বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ও কোনাখালী ইউনিয়নে এ নগদ অর্থ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউএফপি’র প্রোগ্রাম সহকারী মো. বখতিয়ার হোসেন, এসএআরপিভি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত, চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইচার, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, এসএআরপিভি’র ত্রাণ সমন্বয়ক ইয়াসমিন সোলতানা, ত্রাণ সমন্বয়ক মাহমুদ ইমরান, এসএআরপিভি’র আক্তার কামাল মিরাজ, এসএআরপিভি’র ডা. আবদুল মালেক, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য গত জুন মাসে চকরিয়া ১৬ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে প্রথম দফায় দেওয়া হয়েছে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে ভাল মানের চাল ও ৫ কেজি হাই এনার্জি বিস্কুট। ওই একই সময়ে পেকুয়ায় ৭ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে দেওয়া হয়েছে ৩০ কে.জি করে ভাল মানের চাল।

এসএআরপিভি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত জানান; এ কর্মসুচীর আওতায় করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় নিম্ন আয়ের চকরিয়া উপজেলার সাড়ে ১৬ হাজার পরিবারকে এ খাদ্য সহায়তার অংশ হিসাবে দ্বিতীয় দফায় ৪ হাজার ৫শত টাকা নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

এ কর্মসূচীর আওতায় এসেছে চকরিয়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের ১৬ হাজার ৫শত পরিবার। এ কর্মসূচীতে গত মাসে প্রথম দফায় চকরিয়ার ১৬ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ৩০ কেজি ভাল মানের চাল, ৫ কেজি হাই এনার্জি বিস্কুট। প্রথম দফায় ওই একই সময়ে পেকুয়ায় ৭ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫শত পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় চকরিয়ায় ১২ জুলাই থেকে নগদ অর্থ বিতরণ দেওয়া শরু হয়েছে। নগদ অর্থ বিতরণের এই একই কর্মসূচী পেকুয়া উপজেলায় ২১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে। চকরিয়া ও পেকুয়ায় আগামী মাসে ওই ২২ হাজার উপকারভোগী পরিবারের মাঝে আবারও ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।##

পাঠকের মতামত: