ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গুপ্তধন পাইয়ে দেয়া ও চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নেয় ৬৫ লাখ টাকা

অনলাইন ডেস্ক ::  ছেলের সংসার বাঁচাতে কোরানি চিকিৎসার জন্য মোহাম্মদ লিয়াকত আলী নামে এক হুজুরের নিকট দ্বারস্থ হন রোকেয়া করিম নামে এক নারী। ছেলের সংসারে শান্তি ফিরে আসার জন্য ৩ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন হুজুরের সাথে। ওইদিনই বিশ হাজার টাকা অগ্রিম দেন হুজুরকে। বিনিময়ে হুজুর কিছু সুরা শিখিয়ে দেন।

এক পর্যায়ে রোকেয়াকে লিয়াকত জানায়, তার বাসার পাশে দেবর মালিকানাধীন খালি জায়গায় স্বর্ণের পাতিল রয়েছে। যার মূল্য সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা। এ তথ্য সে কিতাব দেখে জেনেছে। উক্ত স্বর্ণের পাতিল নিয়ে দিলে তাকে অর্ধেক দিয়ে ফেলতে হবে বলেও জানায় লিয়াকত। এরপর স্বর্ণের পাতিলের অর্ধেক দেবে উল্লেখ করে রোকেয়ার কাছ থেকে তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেয় লিয়াকত।

সর্বশেষ গত ১২ জুলাই রোকেয়াকে ফোন করে আরও এক লাখ টাকা চায় লিয়াকত, না দিলে অমঙ্গল হবে বলেও হুমকি দেয়। মঙ্গলবার রোকেয়া থানায় অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, আজ বুধবার (১৫ জুলাই) তাকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তার হাফেজ মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (৩৫) চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের পাইরাং কমলাবিবির পাড়ার জমশের আলী মুন্সির বাড়ির জাকির আহম্মদের ছেলে। লিয়াকত খুলশী থানাধীন আলফালাহ গলির চৌধুরী ম্যানশন নামের একটি ভবনে বসবাস করে আসছিলেন।

তিনি আরো বলেন, কবিরাজ হাফেজ মোহাম্মদ লিয়াকত আলী একজন ভণ্ড ও প্রতারক। রোকেয়া করিম নামে এক নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিয়াকত ৬৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ স্বীকার করেছে। হাফেজ মোহাম্মদ লিয়াকত আলী অন্ধ সেজে থাকেন। আসলে সে অন্ধ নয়। চোখে সব দেখে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণার জন্য সে এমন বেশ ধরেছে। রোকেয়া করিমের কাছ থেকে ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে সে বিভিন্ন জায়গায় দান করেছে বলে দাবি করেছে।

‘তবে ওই টাকা পাওয়ার পর সে আরও এক নারীকে বিয়ে করে। বিয়ের পর নতুন বউকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৪০ লাখ টাকা দেয় কবিরাজ হাফেজ মোহাম্মদ লিয়াকত আলী। টাকা পাওয়ার পর ওই স্ত্রী হাফেজ মোহাম্মদ লিয়াকত আলীকে তালাক দিয়ে চলে যায়।’

পাঠকের মতামত: