ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা, জন দুর্ভোগ চরমে!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:  চকরিয়া উপজেলাধীন খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়ার আভ্যন্তরীন সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। মাটি ও বালু পরিবহনে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছে এ ইউনিয়নের প্রায় বার হাজার জনগণ।
জানা গেছে, খুটাখালী ইউনিয়নের সর্বাধিক জনগনের আয়ের উৎস চিংড়ী ও লবণ। যেটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চিংড়ীর প্রজেক্ট ও লবণ উৎপাদনের মাঠে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম জাতীয় উদ্যানের যাত্রী চাউনির সম্মুখে মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার নজরুল মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে সড়কটি। প্রায় চার কিলোমিটারের এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করছে অন্তত পাঁচ গ্রামের বার হাজার জনগণ।
সরেজমিনে জানা যায়, সংস্কারের অভাবে খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলাচল সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে যাতায়াত করছে তিন ব্লকে বিভক্ত মেধাকচ্ছপিয়া, গর্জনতলী, ও কালাচাঁন হাজী পাড়ার লোকজন। এ সড়ক দিয়ে মাটি ও বালি পরিবহনের কারণে নজরুল মিয়া বাড়ির পাশের দেড় কিলোমিটার সড়ক থেকে ইটগুলো দেবে গেছে। তার উপর চলতি বর্ষার মৌসুমে কাদায় ভরে গিয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি। বর্তমানে চরম ভোগান্তিতে চলাচল করছে উল্লেখিত এলাকার জনসাধারণ, চিংড়ী ও লবণ চাষীরা।
মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি জানান, লবণের মাঠ, চিংড়ী ঘের, জেলা উপজেলা শহরে যাতায়াত ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচলের এটি অন্যতম সড়ক। কিন্তু বর্তমানে কেউ অসুস্থ হলে রোগীকে হাসপাতালে নিতে বা কারো বাড়িতে আগুন ধরলে ফায়ারসার্ভিস আসা-যাওয়ার এমন পরিস্থিতি এ সড়কে নেই। নিরব যন্ত্রণা ভোগ করে দিনাতিপাত করছে অত্র এলাকার জনগণ। অতিদ্রুত সড়কটি সংস্কার করে দুঃখদুর্দশা দূর করতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
একই এলাকার অপর এক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতারা বড় মেশিনের মাধ্যমে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছিল। অপরদিকে এ গ্রামের ভেতর দিয়ে চলমান রয়েছে রেল লাইন প্রকল্পের কাজ। সড়কটি দিয়ে মাটি ও বালু পরিবহনে ব্যবহার হয়েছে ভারী যানবাহন। যারফলে আজ হাজার হাজার জনগণের ভোগান্তি।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অবহেলার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির আজ বেহোল দশা। সুষ্ট তদারকির অভাবে গ্রামীণ এ সড়ক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।
এ ব্যাপারে খুটাখালীর আওয়ামিলীগ নেতা জিল্লুর রহমান বলেন, রেল লাইনে মাটি পরিবহনকালে বিষয়টি আমি তাদের বলেছিলাম। সড়কে কিছু ভাঙ্গা ইট কংক্রিট যদি ফেলে দিত তাহলে আজ এ দশা হতো না। এখন জনগণ চলাচলে কষ্ট পাচ্ছে। বালু উত্তোলনের সময় পরিবহন কাজের গাড়ি চলাচলের সময় বালু দেওয়া হয়েছিল। তিনি সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান।
খুটাখালী ১নং ওয়ার্ড মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার মেম্বার সেলিম উল্লাহ বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গাড়ী চলাচলে সড়কটি গর্তে পরিনত হয়েছে। সড়কের কাঁচা মাটিগুলো বৃষ্টিতে কাদায় পরিনত হয়ে জনগণ এখন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক ও লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে অবগত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত পরিবহন চলাচল ও বৃষ্টিতে মাটিগুলো কাদায় পরিনত হয়ে ইউনিয়নের প্রায় সড়কের একই দশা। ভোগান্তির শিকার সর্বাধিক সংখ্যক জনগণ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: