ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

গ্রামীণফোনের পৃষ্ঠপোষকতায় কক্সবাজারে ডি.সি. সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা

IMG_6927-picsayপ্রেস নিউজ::

বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা। দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ১৪ হতে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে পাঁচদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী বলী খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ এ বলী খেলা ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আজ এ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের কক্সবাজার জেলার এরিয়া ম্যানেজার গোলাম সারওয়ার মোঃ কামরুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ুয়া অপু, ডি.সি. সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা পরিষদ’১৬ এর সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন কবির।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম বলী খেলার আসর কক্সবাজারের ডিসি সাহেবের বলী খেলা। ১৯৫৬ সাল থেকে এসডিও সাহেবের বলী খেলা নামে প্রথম বারেরমত বলী খেলা শুরু করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ কক্সবাজার মহকুমা, কক্সবাজার জেলায় উন্নীত হওয়ায় এস.ডি.ও সাহেবের বলী খেলার নতুন নামকরণ করা হয় ডি.সি. সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা। এ বলী খেলা দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। এ বলী খেলায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, রামু ও পেকুয়া সহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক বলী অংশগ্রহণ করবেন। বলী খেলার পাশাপাশি নাগরদোলা, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, তাঁতশিল্প, বস্ত্রশিল্প, মৃৎশিল্প ও দেশীয় পণ্যের বিপুল সমাহারে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বলী খেলার পৃষ্ঠপোষকতা প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলার গ্রামীণফোন এরিয়া ম্যানেজার গোলাম সারওয়ার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতির অন্যতম ধারক এই উৎসবে গ্রামীণফোনকে ষষ্ঠবারের মতো সহযোগিতা করার সুযোগ প্রদানের জন্য কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে যে একটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সে দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। এই উৎসব ধর্মীয় সীমা রেখায় আবধ্য নয় বরং সবার জন্যই উম্মুক্ত। বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে গ্রামীণফোন সব সময় দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছে। আমরা আশাকরি কক্সবাজার বাসীরা দলে দলে ডি.সি. সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা-২০১৬ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেবেন।
অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন বলেন, বাঙালীর ঐতিহ্যের উৎসব বৈশাখের শুরুতে ডি সি সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা কক্সবাজারবাসীর এই প্রাণের উৎসব সফল ও স্বার্থক হবে, এই আমাদের প্রত্যাশা ।
উল্লেখ্য, গত বছর এ বলী খেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে ১০৩ জন বলী অংশগ্রহণ করে। আশা করা হচ্ছে, স্বত:স্ফূর্ত উৎসাহ-উদ্দীপনায় আগের চেয়ে এবারের বলী খেলায় অনেক বেশি মানুষের সমাগম হবে।

পাঠকের মতামত: