ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

উখিয়া শিক্ষা অফিসে ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ, সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা গায়েব!

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::  উখিয়ায় শিক্ষা অফিসে ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা হদিস মিলছেনা। জালিয়া পালং ইউনিয়নের মোহাম্মদ শফির বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা নেই এমন ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যয়পারে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খোদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর বলেন, আমার অফিসের যে কেউ হয়ত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবছর এ নিয়ে আয় উখিয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেরামত কর্মসূচির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক লক্ষ 50 হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয় উত্তর সূত্রের আলোকে মোহাম্মদ শফির বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার বাবদ সমপরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বদিউল আলম জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুরোধে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে একটি স্কুল গৃহ নির্মান করি। কথা ছিল ক্ষুদ্র কর্মসূচির বরাদ্দকৃত টাকা প্রদান করা হবে তিনি আরো বলেন গৃহ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে টাকার জন্য বারবার ধরা দিল শিক্ষা কর্মকর্তা কালক্ষেপন করতে থাকে এক পর্যায়ে সাপ জবাব দে ব্যাংক একাউন্টে টাকা নেই সচেতন অভিভাবকদের অন্যান্য বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে টাকা পাওয়া গেলেও মোহাম্মদ শফির বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাকা গেল কোথায়।
এদিকে বিষয়টি সুরহা করার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট।
দায়িত্বশীল সূত্র জানা গেছে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নির্মাণ চৌধুরী সরাসরি টেলিফোনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য রেহানা আক্তার বলেন উপকূলীয় অনগ্রসর এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত এমনিতে শিক্ষা-দীক্ষায় পিসি আছে এলাকাটি তদন্তে উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা পাঠদান করতে হিমশিম খাচ্ছে এমত অবস্থায় বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামত কর্মসূচির টাকা গায়েব হয়ে দাওয়া খুবই দুঃখজনক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বদিউল আলম জানান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আন্তরিক সহযোগিতায় সচেতন অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে বিদ্যালয় সার্বিক উন্নয়ন সহ লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা প্রদানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব হীনতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সহ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকেই এই অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর অনিয়মের কথা অকপটে শিকার করে বলেন অফিসের হিসাবরক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে সরকারি বরাদ্দ কৃত ঢাকা ব্যাংক একাউন্টে পাওয়া যাচ্ছে না এ কারণে উক্ত বিদ্যালয়ের টাকাগুলো প্রদান করা যায়নি তিনি আরো বলেন খুব শীঘ্রই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

পাঠকের মতামত: