ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

করোনারোধে নকল সুরক্ষা পণ্যে বাজার সয়লাব: সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

নিউজ ডেস্ক ::  প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় নানা ধরনের নকল সুরক্ষাসামগ্রীতে বাজার সয়লাব হয়ে পড়ায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন সচেনত নাগরিকরা। প্রকাশ্যে বিক্রি হওয়া এসব নকল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অন্যদিকে, এসব মানহীন সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার করোনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।

জানা যায়, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে সুরক্ষা পণ্য পিপিই, মাস্ক, অক্সিমিটার, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, স্যানিটাইজার, ফেসশিল্ড, হ্যান্ড গ্লাভসের চাহিদা বেড়েছে। প্রাণঘাতি ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মানুষ প্রতিদিনই বাসা-অফিস ও নিজের ব্যবহারের জন্য এসব সুরক্ষা পণ্য কিনছেন। তবে করোনা থেকে রক্ষা পেতে উদগ্রীব ক্রেতারা এসব পণ্যের কোনটা আসল কোনটা নকল যাচাই করতে পারছেন না। নকলটাই আসল ভেবে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই।

রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে যত্রতত্র এসব নকল সামগ্রী বিক্রি করছে। কেউ কেউ রাস্তার পাশে, কেউ ভ্যানে আবার কেউ ঝুড়িতে সার্জিক্যাল মাস্ক, পলিথিনের হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস-শিল্ড, সার্জিক্যাল ক্যাপ, পিপিই, সাধারণ মাস্ক বিক্রি করছেন। বিভিন্ন স্থানে রীতিমতো বাজার বসছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। ফলে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিয়েছৈ।

ফেইসবুকে বায়েজিদ আহামেদ লিখেছেন, ‘‘বাজারের ৯০% ঔষুধের দোকানে নকল হ্যন্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, স্যাভলন। অলিগলি, ভ্যান গাড়িতে করে এসব নকল সুরক্ষা সামগ্রি বিক্রি হচ্ছে, এই করোনা মহাদুর্যোগেও প্রতারকচক্র মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করছে, এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাই না।
এসব নকল পন্য এমনভাবে বোতলজাত এবং মোড়কজাত করছে, যেটা সাধারন মানুষ ধরতেই পারবে না। এগুলি দেখতে হুবহু আসলের মতো চেহারা, শুধু একটা অক্ষর এদিক সেদিক করা, সচেতন মানুষও এটা ধরতে পারবে না। এগুলি যারা উৎপাদন এবং বিক্রয় করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন অভিযান চালাতে হবে, এদের ক্রসফায়ার করতে হবে, অথবা সামাজিকভাবে অভিযান চালিয়ে গনপিটুনি দিতে হবে।….প্রতিটি দোকানে অভিযান চালাতে হবে, এগুলি বিক্রির দায়ে প্রকাশ্য সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষের জীবন নিয়ে কেও ব্যবসা করবে, এটা মেনে নেওয়া যাই না।’’

এম এ সাইদ লিখেছেন, ‘‘নকল পন্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি মানুষ হত্যার শামিল, তাই যারা এ কাজে জড়িত পুলিশের উচিৎ তাদের অলস ও বেহিসেবি বুলেট গুলি এদের উপর ব্যবহার করা।’’

পলাশ লিখেছেন, ‘‘আসলে কি আমরা বাঙালীরা এত খারাপ মনের মানুষ। কেউ কার লাইগা ভাবী না,, সবাই টাকার লাইগা গুনা করি,, কিন্তু নিজেরও যে বিচার হইব,, তখন কে বাচাই ব,,হে মালিক তুমি সবাইকে মাপ কর,.এদেরকে মায়ামমতা দান কর।’’

কাইসার মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘মোরা কোন জাতি সেটা কি অজানা। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে অনেক আগেই নিতে পারতো। মারের ওপর আর কোনো কথা আছে? এগুলোর বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের নিকট বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

রাইহানুল মোবারক লিখেছেন, ‘‘এ দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কোথায়? ভাবতেই বুক কেঁপে ওঠে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কোন সমাজে রেখে যাবো!’’

পাঠকের মতামত: