ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মাতামুহুরীর ভাঙনরোধে ৫০০ মিটার পয়েন্টে ৫ কোটি টাকার ব্লক ফাইলিং পরিদর্শনে মেয়র

চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়া পয়েন্টে বেড়িবাঁধে সিসি ব্লক বসানোর কাজ পরিদর্শন করেছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর বিশেষ তদবিরে অবশেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে মাতামুহুরী নদীর ভাঙনরোধে পৌরসভার কোচপাড়া পয়েন্টের ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ এলাকায় বসানোর হয়েছে টেকসই সিসি ব্লক। ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নদীর তীর এলাকায় ব্লক ফাইলিং কাজ সমাপ্ত করেছেন। এখন চলছে বেড়িবাঁধ পয়েন্টে মাটির কাটার কাজ।

গতকাল চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনের বেড়িবাঁধে মাটিকাটা উন্নয়ন কাজ পরির্দশন করেছেন পৌরসভার ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মেয়র আলমগীর চৌধুরী। এসময় পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোর্শেদ, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, মাতামুহুরী নদীর ভাঙনরোধে ৫০০ মিটার পয়েন্টে সিসি ব্লক বসানোর জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শুরু হওয়া প্রকল্পের অধীনে মাতামুহুরী নদীর পৌরসভার কোচপাড়া পয়েন্টে ৩০০ মিটার এবং লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যারচরস্থ মাতামুহুরীর তীরের ২০০ মিটার এলাকায় সিসি ব্লক বসানোর কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

পাউবো সুত্র জানিয়েছেন, কাজের অগ্রগতি মুর্হুতে গেলবছর ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তাণ্ডবে প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ কিছুটা ধীরগতিতে চলে। তবে চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নদীর ৫০০ মিটার পয়েন্টে সুচারুভাবে তীরসংরক্ষন কাজটি সমাপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা শাখা কর্মকর্তা (এসও) মো.শাহ আরমান সালমান বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরিকৃত ব্লক তৈরীর কাজের গুনগত মান যাছাই করতে ল্যাবে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে পাউবোর উচ্চ পর্যায়ে বিশেষঞ্জ টিমের সমীক্ষা শেষে তৈরীকৃত ব্লক নদীর তীরের বেড়িবাঁধে ফাইলিং করা হয়।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নদীর ৫০০ মিটার পয়েন্টে সুচারুভাবে তীরসংরক্ষন কাজটি সমাপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে চলছে বেড়িবাঁধ পয়েন্টে মাটির কাটার কাজ। উন্নয়ন কাজের পুরো কার্যক্রম শেষ হবার মধ্যদিয়ে আশাকরি চলতি বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় সর্বসাধারণ প্রকল্প কাজের সুফল পাবেন।

পাঠকের মতামত: