প্রসঙ্গত: কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় রেখে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ৫ জুন উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার সিদ্বান্তের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকা এবং ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডকে দুই সপ্তাহের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
৭ জুন মধ্যরাত ১২টার পর থেকে চকরিয়া পৌরসভা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে রেডজোন ঘোষণাকৃত এলাকাসমূহে লকডাউন কার্যক্রম শুরু হয়ে ২১ জুন মধ্যরাতে রেডজোনে লকডাউন শেষ হয়। পরে ২০ জুন উপজেলা প্রশাসনের বৈঠকে দ্বিতীয় বারের মতো গত ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত আবারও লক ডাউন ঘোষাণা করা হয়েছিল। উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তনুযায়ী ২৮জুন ১২টায় লকডাউন কার্যক্রম শেষ হবে।
এদিকে ২৯ জুন সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল করে সকাল ১০টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে দোকানপাট খোলা ও ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে বলে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২৮ জুন পর্যন্ত চকরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯, সুস্থ হয়েছেন ২০১ জন, বর্তমানে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১জন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০৪জন, সরকারী হিসেবে ৬ জনের মৃত্যু হলেও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৪জন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পরথেকে চকরিয়ায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত মাঠ পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।##
পাঠকের মতামত: