ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রনোদনা বঞ্চিত কুতুবদিয়ার অনেক জেলে, মৎস্য প্রজননে সাগরে মাছ ধরা নিষেধ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া :: বঙ্গোপসাগর, নদী, হাওর, খাল এলাকায় মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তারই আদেশে উপকূলীয় এলাকা কুতুবদিয়া দ্বীপের মৎস্যজীবিরা সরকারি বিধি নিষেধ মান্য করে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের আদেশ মোতাবেক গত ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রাখার আদেশ জারি করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কুতুবদিয়া উপকূলের জেলেরা সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। মৎস্য অফিসের তালিকাভূক্ত জেলেদের প্রনোদনা হিসেবে প্রতিটি জেলেকে ৮৬ কেজি চাল বিতরণ করবে মৎস্য অফিস।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়ায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৫৯ জন। এসব জেলে দুই কিস্তিতে প্রনোদনা চালগুলো পাবেন। তন্মধ্যে ১ম কিস্তিতে ৫৬ কেজি এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩০ কেজি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আইয়ুব আলীর সাথে কথা তিনি বলেন, গত ৩জুনের মধ্যে মৎস্য অফিস থেকে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে মৎস্য কাজে জড়িত জেলেদের হালনাগাদ করে তালিকা প্রেরণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে ৫ ইউনিয়ন থেকে তালিকাপত্র পাওয়া গেলেও এক ইউনিয়ন থেকে এখনো তালিকা পাওয়া যায়নি। যার ফলে জেলেদের প্রনোদনা চালের বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অবশ্য ৫ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রেরিত হালনাগাদ জেলেদের তালিকা অনুসারে আগামী ২০ জুন জেলেদের নিকট চাল বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য অফিস।
এ দিকে কুতুবদিয়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, কুতুবদিয়া উপকূলে ছোট বড় প্রায় দুই হাজার ফিশিং ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারগুলোতে প্রায় ১২ হাজার জেলে শ্রমিক মৎস্য কাজে নিয়োজিত। সরকারিভাবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার জেলে নিবন্ধনের আওতায় আছে। নিবন্ধিত জেলেরা সরকারি প্রনোদনার সুযোগ সুবিধা পেলেও বাকি সাড়ে তিন হাজার জেলে সরকারি প্রনোদনা সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
কুতুবদিয়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আজমগীর মাতবর বলেন, সরকার ঘোষিত মৎস্য প্রজনন মৌসুম হিসেবে সাগরে মাছ ধরা নিষেধ রয়েছে। বর্তমানে জেলেরা উপকূলে বেকার হয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে কুতুবদিয়া উপকূলের জেলেদের ঘর বন্দি। এ অবস্থায় প্রকৃত জেলেদের নাম নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারি প্রনোদনা যথা সময়ে বন্টন করার জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানান।
জেলে আবদুল মালেক জানান, সাগরে মাছ ধরতে যওয়া অনেক জেলে নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারি প্রনোদনা বিতরণের অনুরোধ জানান।

পাঠকের মতামত: