ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে চলছে এলজিএসপি’র সড়ক নির্মাণ কাজ (রামু সংবাদ)

ssssসোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামুতে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে চলছে এলজিএসপি-২ এর সড়ক নির্মাণ কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে, রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বনবিহার এলাকায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যার যোগসাজশে বড় ধরনের এ অনিয়মের ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিন উদ্দিন মনু জানান, সম্প্রতি এলজিএসপি-২ এর আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে উত্তর মিঠাছড়ি এলাকায় অমিয় বড়–য়ার বাড়ি হতে কমল বড়–য়ার বাড়ি পর্যন্ত ব্রিক সলিন সড়ক নির্মাণ কাজের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান এমএম নুরুচছাফা এলজিএসপি-২ এর আওতাধিন এ ব্রীকসলিন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি করেন, অভিযুক্ত মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগমকে।

তিনি আরো জানান, গত দুদিন (৯ ও ১০ এপ্রিল) একই এলাকার মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম তার কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে এলজিএসপি-২ এর সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করেন। অথচ ওই সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতিও তিনি।

গতকাল রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারের পাশে অমিয় বড়–য়ার বাড়ি হতে কমল বড়–য়ার বাড়ি পর্যন্ত ব্রিক সলিন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে পুরোদমে কাজ করছিলো কর্মসৃজন প্রকল্পের ১৮ জন শ্রমিক। দুদিন ধরে মাটি কেটে এসব শ্রমিকরা সড়কটি ইট বিছানোর উপযোগি করে গড়ে তোলে।

সড়ক নির্মাণে জড়িত কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকরা হলো, আলী আহমদ, রিতা বড়–য়া, নিরু বালা বড়–য়া, মল্লিকা বড়–য়া, অনিমা বড়–য়া, জহুরা বেগম, নিরুদা বড়–য়া, ছেনুয়ারা বেগম, জানু বেগম, রাজিয়া বেগম, নজির আলী, মনিরুল ইসলাম, দিল মোহাম্মদ চৌকিদার, নজির আহমদ, রমজান আলী, লোকমান হাকিম, আবদুর রশিদ ও সুপারভাইজার বাবুল।

শ্রমিকরা জানিয়েছে, মহিলা মেম্বার ফাতেমা বেগমের নির্দেশে তারা ইট বিছানোর জন্য এ সড়কের মাটি কাটছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ফাতেমা বেগম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান এবং জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান এমএম নুরুচছাফার সাথে যোগসাজশ করে গত ৯ এপ্রিল শুরু হওয়া কর্মসৃজন প্রকল্পের ১৮ জন শ্রমিক দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এলজিএসপি-২ এর আওতাধিন ব্রীকসলিন সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

এলজিএসপি-২ এর ব্রীকসলিন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম জানিয়েছেন, সড়ক করার জন্য মাটি কেটেছি, এটা তেমন কিছু না। তিনি মূল বিষয়টি এড়িয়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা গাড়ি চালক সুজন বড়–য়া ও কৃষক শুকন বড়–য়া জানান, দুদিন ধরে প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারের সামনের সড়কে ইট বিছানোর জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকরা কাজ করতে দেখেছেন। অথচ ওই সড়ক নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প রয়েছে বলে তারা জেনেছেন। এমন অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবিও জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি জানার পর গতকাল (রবিবার) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান। তিনি জানান, সড়কে যে পরিমান মাটি কাটা হয়েছে, সে পরিমান মজুরির অর্থ এলজিএসপি’র বরাদ্ধ থেকে বাদ দেয়া হবে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসার পূর্বে ওইসব শ্রমিকদের এলজিএসপি’র সড়ক থেকে কৌশলে সরিয়ে নেয়া হয়।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

###################

 রামুতে হাতির আক্রমনে গৃহবধূর মৃত্যু

সোয়েব সাঈদ, রামু ::::

রামুতে হাতির আক্রমনে গৃহবধূ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত গোলবাহার (৪০) রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মধ্যম খুনিয়াপালং ইউনিয়নের জমিরাকাটা গ্রামের জাফর আলমের স্ত্রী। গতকাল রবিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গোল বাহারের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাড়ির পার্শ্ববর্তী কালিগনইন্যা নামক এলাকায় বনাঞ্চলে কাঠ সংগ্রহ করতে যান গোলবাহার। এসময় বন্যহাতির হামলায় ঘটনাস্থলে তিনি প্রাণ হারান।

খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বনে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে বন্য হাতির হামলায় গৃহবধূ গোলবাহার প্রাণ হারান।

#############################

 

রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইনের ইন্তেকাল

সোয়েব সাঈদ, রামু ::::

ঐতিহ্যবাহি রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন (৬৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৪ মেয়ে রেখে যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ (সোমবার) বাদে আছর রামু উপজেলার পূর্ব মোহাম্মদপুরা জামে মসজিদ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।

মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে রামুর গর্জনিয়া থোয়াংগেরকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ধীমান হোছাইন জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কয়েকদিন পূর্বে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। বুধবার থেকে পূনরায় অসুস্থবোধ করলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি আরো জানান, তাঁর পিতা মোহাম্মদ হোছাইন ২০১১ সালে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। তবে পরবর্তীতে তিনি এ বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা পেশায় আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন।

প্রবীন ও ত্যাগি এ আদর্শ শিক্ষকের মৃত্যুতে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং পুরো এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

 ##############

আওয়ামীলীগে যোগ দিলেন গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী

সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ন্যাপ নেতা তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজলের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দলে যোগদান করেন।

গতকাল রবিবার (১০ এপ্রিল ) সকাল ১১টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে যোগদান অনুষ্ঠানে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াসে তিনি বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে তিনি গর্জনিয়া ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নের রুপান্তরের চেষ্টা চালাবেন। এ ইউনিয়নের অন্যতম সমস্যা গর্জনিয়া সেতু চালুর জন্য তিনি প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অচিরেই খাল খনন করে এ সেতু আবারো যান চলাচলের উপযোগি করা হবে। গর্জনিয়া হতে উখিয়ারঘোনা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। এমনকি ইউনিয়নকে বিদ্যুতায়ন করার জন্য অনেকে আশ্বাস আর ফলক নাটক মঞ্চস্থ করেছে। তিনি এর সফল বাস্তবায়ন করবেন।

অনুষ্ঠানে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী একজন নিবেদিতপ্রাণ জনপ্রতিনিধি ও দক্ষ সংগঠক। তাঁর মতো প্রবীন, দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি আওয়ামীলীগে যোগদান করা দলের জন্য সৌভাগ্যের। তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে আগামীতে রামু পূর্ব সীমান্ত জনপদে উন্নয়নের নব দিগন্তের সূচনা হবে।

যোগদান অনুষ্ঠানে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মন্ডল, সহ-সভাপতি তপন বড়–য়া, হানিফ বিন নজির, নুরুল ইসলাম বকুল, যুগ্ন সম্পাদক মৃনাল বড়–য়া, সজল শর্মা, অর্থ সম্পাদক ও রামু প্রেস ক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.ইউনুচ রানা চৌধুরী, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হক চৌধুরী, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সভাপতি ফিরোজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুল আলম, প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আলম, গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইউছুফ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক শংকর শর্মা, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা আয়েশা খানম চৌধুরী, রওশন আক্তার ও নুরুচ্ছফা বেগম, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, মো,জুবাইর, আবু তাহের, আতা উল্লাহ, আবু ইউচুপ, উপজেলা যুবলীগ নেতা আবছার কামাল ও মো. নেজাম সহ শতাধিক জনতা উপস্তিত ছিলেন।

 ############

মা ও শিশু হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসায় সুস্থ হলেন ফিস্টুলা আক্রান্ত ২৫০ নারী

সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে অবস্থিত হোপ ফাউন্ডেশনের পরিচালনাধিন মা ও শিশু হাসপাতালের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন ফিস্টুলা আক্রান্ত নারীরা। মায়েদের বাধাগ্রস্ত এবং বিলম্বিত প্রসবের ক্ষেত্রে এই রোগের সৃষ্টি হয়। এ রোগের ফলে মায়েদের অনবরত প্র¯্রাব ঝরতে থাকে যা তার জীবনে অভিশাপ হয়ে দেখা দেয়। স্বামী এবং সংসার থেকে বিচ্যুত হয়। সমাজ ও তাকে মেনে নেয় না। এই জটিল এবং ব্যয় বহুল রোগের চিকিৎসা হোপ হসপিটালে নিয়মিত হচ্ছে। এই হাসপাতালে ফিস্টুলা রোগীর সার্জারীর জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার এবং স্টাফ রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে এই হাসপাতালে ফিস্টুলা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে এবং এই পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন ফিস্টুলা রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পুর্ণ সুস্থ হয়েছেন এবং সুস্থ জীবন যাপন করছেন। উল্লেখ্য যে, এই জটিল এবং ব্যয়বহুল অপারেশনটি হোপ হসপিটালে সম্পুর্ন বিনা খরচে করা হয়। এ ছাড়াও ঠোঁট কাটা ও তালু ফাটা এবং আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা ও বিনা খরচে করা হয়ে থাকে। অন্যান্য চিকিৎসা সেবা এবং বিভিন্ন প্রকার টেস্ট অত্যন্ত সল্প খরচে করা হয়্। দরিদ্র রোগীদের জন্য যেকোন চিকিৎসা এবং টেস্ট বিনা মূল্যে করা হয়ে থাকে।

চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হোপ ট্রেনিং সেন্টারে ইউকেএইড এর অর্থায়নে এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারী প্রশিক্ষণ চলছে। তিন বছর মেয়াদি এই প্রশিক্ষণে বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের মেয়েরা অংশ নিচ্ছে। প্রথম ব্যাচের ৩০ জন মেয়ে ইতিমধ্যে গ্রাজুয়েশন অর্জন করেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যাচের ৫০ জন মেয়ে বর্তমানে প্রশিক্ষণরত আছে।

হোপ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রবিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে অবস্থিত হোপ ফাউন্ডেশনের পরিচালনাধীন মা ও শিশু হাসপাতালের সভা কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় হোপ ফাউন্ডেশনের চীফ অপারেটিং অফিসার কমান্ডার এসএম ফেরদৌসুজ্জামান (অব:), হোপ হসপিটালের পরিচালক ডা: সোয়েব আহমেদ, ছৈয়দ করিম, পিসিসি এবং ইমরানুল হক, কো-অর্ডিনেটর উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে চীফ অপারেটিং অফিসার হোপ ফাউন্ডেশন এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের বাংলাবাজার এলাকায় মা ও শিশু হাসপাতাল নামে এই প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৬ সালে দক্ষিণ মিঠাছড়ির চেইন্দা এলাকায় এর বর্তমান অবস্থানে একটি হাসপাতাল এবং ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে। বর্তমানে হোপ হাসপাতাল একটি ৪০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। এ হাসপাতালে বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, দক্ষ নার্স এবং মিডওয়াইফ সহ প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী কর্মরত আছেন।

হোপ হসপিটালের পাশে হোপ ফাউন্ডেশনের নিজস্ব জমিতে ৭৫ শয্যা বিশিষ্ট হোপ মেটারনিটি এন্ড ফিস্টুলা সেন্টারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ সেন্টারটি মাতৃসেবা এবং ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসায় অনন্য সাধারণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। এই ধরনের সেন্টার শুধু অত্র অঞ্চলেই নয় সমগ্র বাংলাদেশে একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা যায়। মত বিনিময় অনুষ্ঠানে কক্সবাজার ও রামু উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: