ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বদলী

কুতুবদিয়া  প্রতিনিধি :::

দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর কুতুবদিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বদলীতে পদটি শূণ্য পড়ে থাকবে আবারও ।  তার বদলীতে কুতুবদিয়াবাসী একজন ন্যায় বিচারক হারিয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সাধারন জনসাধারন ও বিচারপ্রার্থীরা। তাছাড়া এ স্থানে অন্যকোন বিচারক না আসা পর্যন্ত চকরিয়া আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গেছে। এখন জনমনে প্রশ্ন আবার কত বছর শূণ্য থাকবে এ মূল্যবান বিচারকের পদ? আবার কত বছর নদী পাড়ি দিয়ে মামলার হাজিরা দিতে যেতে হবে চকরিয়া। এতে ভোগান্তী বাড়বে দ্বীপবাসীর। এমন পরিস্থিতিতে কুতুবদিয়ার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশংকা করছেন দ্বীপের সচেতন মহল। যদিও উপজেলায় রয়েছেন দুঃসাহসীক দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ইউএনও) সালেহীন তানভীর গাজী এবং (ওসি) অংসা থোয়াই। তারা পারবেন তো ! কুতুবদিয়ায় ঘটে যাওয়া অনাকাংকিত পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করতে। রাজনৈতিকের রোষানলে পড়ে নাকি তারাও কয়েকদিন পরে বদলী হয়ে যাবেন এমন সব আজব চিন্তা করতে দেখা গেছে দ্বীপের সাধারণ মানুষকে।এতদিন কুতুবদিয়াবাসীর সেবায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে প্রশংসা খুড়িয়েছেন অনেক। পারিবারিক বিচার থেকে শুরু করে সমাজের খুঁটিনাটি বিষয়ের মামলাগুলোও মিলামিশির মাধ্যমে মিটিয়েছেন তিনি। আবার ক্রিমিনাল মামলাগুলোতেও কোন ধরনের ছাড় দেননি।দ্বীপে দীর্ঘ ৩বছর ৪ মাস অতিবাহীত করে দ্বীপের নুনাজলে সিক্ত মানুষের ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়ে ১০ এপ্রিল’১৬ (রবিবার) কুতুবদিয়া আদালতের বিচারীক কার্যশেষ করে কর্মস্থল থেকে বদলী জনীত কারনে বিদায় নিলেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিন। এ স্টেশন ছেড়ে তিনি মাদারীপুর সদর জর্জ আদালতে সিনিয়র সহকারী জর্জ হিসেবে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে। তিনি ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর কুতুবদিয়া আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেছিলেন। গত ১৯ নভেম্বর ৩ বছর পুর্তি পালন করেছে কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা। আজ রবিবার (১০ এপ্রিল’১৬) এ বিচারককে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগ আপ্লোত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবী ও তাদের সহকারী। এসময় বিচারপ্রার্থীদের অনেকের চোখেও দেখা গেছে লোনা জল। যেখানে যাবে সেখানেই ন্যয় বিচার করবেন তিনি (সাহাব উদ্দিন) এমনই প্রত্যাশা তাদের।

পাঠকের মতামত: