ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ::  চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান”।কাঠগড়-পতেঙ্গা এলাকায় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আম্ফানের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় ঢেউয়ের গর্জন।

এদিকে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দ্রতই চট্টগ্রামের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি এখন চট্টগ্রাম উপকূল থেকে বেশি দূরে নয়। এটি উপকুল থেকে মাত্র ৮৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।

আজ মঙ্গলবার ১৯ মে রাত থেকে আগামীকাল ২০ মে বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যে কোন সময়ে এটি চট্টগ্রাম উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে।

এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং সকল ধরণের নৌযানকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ না ধরতে নিষেধ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস থেকে আরো জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান কক্সবাজার উপকূল থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চাৎ এবং পায়রা সমূদ্র উপকুল থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম অবস্থান করছে।

এ তিন উপকূলের মধ্যে কক্সবাজারকে ৬ নম্বর এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান শক্তি সঞ্চয় করে চলছে। মনে হচ্ছে এটি বেশ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তবে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কী পরিমাণ ও কত বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে সেটি ১ মে রাতে ও পরদিন ২০ মে সারাদিন পর্যবেক্ষণ করে বলা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে-২০ মে বিকাল অথবা সন্ধ্যায় এটি চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত করবে অথবা চট্টগ্রাম উপকুল অতিক্রম করবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে সবগুলো জাহাজ বহিরনোঙরে পাঠানো হয়েছে। বহিরনোঙরে থাকা ৫১ টি বড় জাহাজকে পাঠানো হয়েছে গভীর সমুদ্রে। বন্দর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালুসহ এলার্ট-৩ জারি করা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার ক্ষয়ক্ষতি রুখতে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৮৪টি মেডিকেল টিম। সংগ্রহ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।এছাড়া জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবারের ব্যবস্থাসহ প্রায় ৩ লাখ মানুষ থাকতে পারে এমন ১ হাজার ৭৭০ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খাবারের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ হাজার ৭৭০ টি আশ্রয়কেন্দ্র।

পাঠকের মতামত: