ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কমতে শুরু করেছে চালের দাম, উঠেছে বোরো ধান, বেড়েছে সরবরাহ

নিউজ ডেস্ক ::   বোরো ধান ঘরে উঠার জেরে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তায় চালের দাম কমেছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এর আগে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই চালের দাম বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে বর্তমানে চালের সররবাহ বেড়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে শুরুর দিকে মানুষজন খুবই আতঙ্কিত ছিল। সেই সময় যার এক বস্তা চাল প্রয়োজন, তিনি দুই বস্তা কিনেছেন। এছাড়া সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম চড়া ছিল। তবে অবশেষে চালের দাম কমার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। নগরীর চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে নাজিরশাইল, জিরাশাইল (সিদ্ধ), মিনিকেট (সিদ্ধ), বাসমতি (সিদ্ধ), স্বর্ণা (সিদ্ধ), বেতি, পাইজাম (আতপ), মিনিকেট (আতপ), কাটারীভোগ আতপ ও মোটা সিদ্ধ বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তায় ২৫০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ ৩০০ টাকা কমে গিয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ বস্তায় ২০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া স্বর্ণা সিদ্ধ ২০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। অপরদিকে মিনিকেট আতপ ১০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা, মোটা সিদ্ধ ১৫০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯৫০ টাকায়। এছাড়া চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার ৬০০ টাকায়, নাজিরশাইল সিদ্ধ ২ হাজার ৭০০ টাকা এবং কাটারিভোগ আতপ ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই তিন ক্যাটাগরির চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, নতুন ধান উঠার কারণে মোকামগুলোতে ধান চালের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে বাজার কমতির দিকে রয়েছে। সামনে আরো কমতে পারে। তবে সরকার ধান কেনার মিল কোটা রাখার কারণে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুযোগ নেন। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনে তবে কৃষক উপকৃত হবে। চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম বলেন, বাজারে বর্তমানে চালের সরবরাহ বেড়েছে। আবার বেচাবিক্রিও কিছুটা ঠান্ডা। প্রতি বছর নতুন ধান উঠলে চালের বাজার পড়ে যায়।

চট্টগ্রাম রাইচ মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি শান্ত দাশগুপ্ত বলেন, এখন পর্যন্ত ২৫ শতাংশ বোরো ধান উঠেছে। তবে চট্টগ্রামে মিলে বোরো ধান আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন ধান আসতে পারে। নতুন ধান আসলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ে। ফলে দামও কমে যায়।
এদিকে পাইকারীতে দাম কমার প্রভাবে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম ৩-৪ টাকা কমে গেছে। বর্তমানে মিনিকেট আতপ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকায়। যা রমজানের আগে ছিল ৬২ টাকা। মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায়। এছাড়া স্বর্ণা সিদ্ধ ৫৫ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজীর দেউড়ি এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো. আজম জানান, পাইকারীতে দাম কমার জেরে খুচরাতে দাম কমেছে। আমরা দুই তিন বস্তা চাল এনে বিক্রি করি। পাইকারীতে কমে গেলে আমরাও দাম কমিয়ে দিই।

পাঠকের মতামত: