ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে ত্রাণ সমন্বয় কমিটির সভায় এমপি কমলের ক্ষোভ প্রকাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::
বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কক্সবাজারে বৈষম্যের শিকার হয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা ও রামু উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শনিবার (২এপ্রিল) কক্সবাজার জেলায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চলমান ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল।
কক্সবাজার পৌরসভা ও রামুতে জনসংখ্যা অধিক হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য উপজেলা চাইতে ত্রাণ বরাদ্ধ প্রায় দুই লক্ষ কেজি চাল কম দেয়ায় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠালেও কেন রামুতে দুই লক্ষ কেজি চাল কম দেয়া হয়েছে, তা জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চান সাংসদ কমল। সভায় কক্সবাজার পৌরসভায়ও তুলনামূলক ভাবে ত্রাণের চাল কম বরাদ্দ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কাদের খুশি করার জন্যে অথবা কার নির্দেশে এ বৈষম্যমূলক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা পৌর ও রামুবাসী জানতে চায় বলেও তিনি সভায় জানায়।
এদিকে ত্রাণ বিতরণে বৈষম্যের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হলে রামুতে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। অনেকেই রামুতে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে। জানতে চাচ্ছেন, রামুতে জনসংখ্যা অন্য উপজেলার চাইতে বেশী হওয়ার পরও সরকারের ত্রাণ বরাদ্ধ এতো স্বল্প কেন।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জেলা প্রশাসন ত্রাণের চাল বরাদ্ধ দেয় কক্সবাজারের সদর উপজেলায় ৩১৯ মে.টন, মহেশখালীতে ৩০২ মে.টন, টেকনাফে ২৬০ মে.টন, চকরিয়ায় ২৫০ মে.টন। অন্যদিকে জনবহুল কক্সবাজার পৌরসভায় ১২২ মে.টন ও রামু উপজেলায় মাত্র ১১৯ মে.টন চাল বরাদ্ধ দেয় জেলা প্রশাসন। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্ধ দিলেও রামু উপজেলা ও কক্সবাজার পৌরসভার মানুষ সবচেয়ে কম ত্রাণ বরাদ্ধ পায়।
শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চলমান ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব কক্সবাজার জেলায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কার্যক্রমের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দীন আহমদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় কক্সবাজার জেলার সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকার দলীয় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পৌরসভার মেয়র, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানবৃন্দসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দুর্যোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, লকডাউন বাস্তবায়ন, সার্বিক ত্রাণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য উৎপাদন ও মজুদ অবস্থা, ধান কাটার প্রস্তুতি, বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাঠকের মতামত: