ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় রাইচ মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাউল কেলেঙ্কারীর যত অভিযোগ

মনির আহমদ, চকরিয়া :: চকরিয়ায় মেয়াদোত্তির্ন নিম্নমান সম্পন্ন এবং ওএমএসের চোরাই পথে কেনা চাউল আশুগঞ্জ সহ বিভিন্ন নামী-দামী কোম্পানির বস্তায় ভরে চড়াদামে বিক্রী সহ নানা অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি রাইচমিল মালিকের বিরোদ্ধে। বিষয়টি তদন্তে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

ক্রেতারা জানায়, কক্সবাজার জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি হাজ্বী ফজল করিম ও তার ভাই মাহমুদুল করিমের মালিকানাধিন চকরিয়ার মগবাজারস্থ সোনালী অটো রাইচমিল। তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারী এলএসডি গোডাউনের ইনচার্জ আব্দুল হাই সহ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আঁতাত করে বাজারে কৃত্রিম চাল সংকট তৈরী করেন, সরকারী গুদামে ধান ক্রয়ে অনিয়ম এ কৃষকদের হয়রানী, চট্টগ্রামস্থ বিএমএস গ্রুপের মেয়াদোত্তির্ন চাল ক্রয়, ওএমএসের চোরাই পথে আনা চাউলে ভেজাল করা আশুগঞ্জ সহ বিভিন্ন নামী-দামী কোম্পানির বস্তায় ভরে চড়াদামে বিক্রী করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে মগবাজারের এ সোনালী রাইচ মিল কর্তৃপক্ষ বস্তায় ৫০ কেজি’র স্থলে  ২/৩ কেজি চাল কম দিয়ে উচ্চমুল্যে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরে জমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মিলে। গতকাল ১২ এপ্রিল২০২০’ রবিবার দুপুর ২টায় স্থানীয় বাজার কমিটির সদস্য ছুট্টো সহ সোনালী রাইচ মিলের সামনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় দিনে দুপুরে পাচারের উদ্দ্যেশ্য জানুয়ারী ২০১৮ ইং লেখা চট্টগ্রাস্থ বিএসএম গ্রুপের মেয়াদোত্তীর্ন চাল মিনি ট্রাক ভর্তি করা হচ্ছে।

 অথচ একই কোং মেয়াদ আছে এই রকম চাউলকে নিম্নমান দাবী করে বিগত ৬ এপ্রিল ২০২০’ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চকরিয়ার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানবির হোসেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত সোনালী রাইচমিলের পার্শ্বের চাউলের দোকানী জাকের আহমদের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং ৪১ টন চাউল জব্দ করেন।

 এ ব্যাপারে চকরিয়ার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানবির হোসেনকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি তিনি জানেন এবং এলএসডি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।

এমন সময় মিল মালিক ফজল করিমের সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চকরিয়ার এলএসডি ইনচার্জ আব্দুল হাই ও খাদ্য অফিস সহকারী মোহাং রফিক। এলএসডি ইনচার্জ আব্দুল হাই এর কাছে এ চাউলের মেয়াদ আছে কিনা এবং বৈধতা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এ চাউলের ব্যাপারে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 এ ব্যাপারে চকরিয়ার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানবির হোসেনকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি তিনি জানেন এবং এলএসডি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।

এমন সময় মিল মালিক ফজল করিমের সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চকরিয়ার এলএসডি ইনচার্জ আব্দুল হাই ও খাদ্য অফিস সহকারী মোহাং রফিক। এলএসডি ইনচার্জ আব্দুল হাই এর কাছে এ চাউলের মেয়াদ আছে কিনা এবং বৈধতা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এ চাউলের ব্যাপারে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাধারন ভোক্তা ও সচেতন মহল জানান, ওই দোকানে পোকামাকড় আছে এ ধরনের  ভেজাল চাউল বিক্রী করে নামী দামী কোম্পানির বস্তায় ভরে বিক্রির  পাশাপাশি ওজনে কম দেয়া হয় বলে জানান।  এ  ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবী জানান তারা।

পাঠকের মতামত: