ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বোয়ালিয়াছড়া রাবার ড্যাম প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরির্দশনে এলজিইডির কর্মকর্তারা

ওওওওওওএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে সুরাজপুর বোয়ালিয়াছড়া রাবার ড্যাম প্রকল্প। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সার্বিক প্রচেষ্টায় এলাকার কৃষক ও চাষাবাদের জন্য সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের কথা রয়েছে। উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে সেচ সুবিধার জন্য রাবার ড্যাম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন চুড়ান্ত হলেই ইউনিয়নের প্রায় ১৫শত একর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ। তিনি বলেন, সেচ সুবিধার অভাবে এতদিন ইউনিয়নের উল্লেখিত পরিমাণ জমি বছরের পর বছর অনাবাদি পড়ে থাকতো। এদিকে সরেজমনি প্রকল্প এলাকায় কৃষক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর হলেও বোয়ালিয়াছড়া খালে স্থায়ী একটি রাবার ড্যাম নির্মাণের মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষক পরিবার গুলো। এতে করে রীতিমত কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

বুধবার সকালে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়াছড়াস্থ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) উধর্বতন কর্মকর্তারা। ওইসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের ডেপুটি টিম ডিলার মো.আবু তাহের, এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম ছিদ্দিকী, চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো.আমিন উল্লাহ, বোয়ালিয়াছড়া সেচ প্রকল্পের সভাপতি আজিমুল হক, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কাজল, ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদোক্তা সুমন দাশ এবং ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তি ও এলজিইডির কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো.আমিন উল্লাহ বলেন, কয়েকমাস আগে ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকল্পের নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার প্রকল্প এলাকা পরির্দশনে এসেছেন এলজিইডির উধর্বতন কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজের মালামাল প্রকল্প এলাকায় মজুদ করা হয়েছে। আশা করি চলতিবছরের জুন মাসের মধ্যে রাবার ড্যাম প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত: