ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খুটাখালীতে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট!

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহ :: চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী নলবুনিয়া গ্রামে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ঘর-বাড়ি ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুর বারটার সময় বর্নিত ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের আমান উল্লাহর বসত ঘরে ঘটে এ ঘটনা। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই নাছির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, বিগত কিছুদিন পুর্বে ইউনিয়নের গর্জনতলী নলবুনিয়া গ্রামের মৃত আহমদ ছবির পুত্র আমান উল্লাহর স্ত্রীর সাথে তার ছোট ভাই আবদু শুক্কুরের স্ত্রীর মাঝে শিশুদেরর ঝগড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শুক্কুরের স্ত্রীর দা’র কুপে মারাত্নক জখম হয় আমান উল্লাহর স্ত্রী আনছারু বেগম।

এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার দুপুরে আবদু শুক্কুরের নেতৃত্বে অপরাপর ভাই বেলাল উদ্দীন, তার স্ত্রী রোকসানা, কামাল উদ্দীন, তার স্ত্রী ফেরদৌস, নাছিরের স্ত্রী রোকসানা, নুরুল ইসলামের স্ত্রী মুন্নি, বজল আহমদের পুত্র সাইফুল ও জালাল আহমদের পুত্র রিদুয়ানসহ প্রায় ১০/১২ জন দুর্বত্তরা দা,লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে আমান উল্লাহর ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে আলমারিতে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ অংলকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এসময় প্রান ভয়ে আমান উল্লাহর স্ত্রী আনছারু বেগম বসতবাড়ির সিলিং এর উপর লুকিয়ে পড়েন। হামলাকারীরা চলে গেলে তাৎক্ষনিক তিনি বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার অলি আহমদকে অবহিত করেন বলে জানায়।

স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে মেম্বার অলি আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে নিভৃত করেন। এ ঘটনায় আনছারু বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় ৮ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়েের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান আমান উল্লাহ।

ভুক্তভোগি আমান উল্লাহর স্ত্রী আনছারু বেগম বলেন, হামলাকারীরা আমার বাড়ির দরজা, জানালা ভেঙ্গে রুমের সকল আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, সেলাই মেশিন এবং ঘরের চাল কেটে ফেলে। আনছারু বেগম আরো বলেন, এসময় স্বামী বাড়িতে ছিলেন না।

আমান উল্লাহ বলেন, হামলাকারীরা আমার বাড়ি ভেঙ্গে রুমের সকল আসবাবপত্র লুটপাট করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা নিয়ে গেছে। জানতে চাইলে ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার অলি আহমদ বলেন, লোকজনের মুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।

এসময় উভয় পক্ষ নালিশ দিলে পরবর্তীতে শালিশী আকারে বিচার কার্য করা হবে বলে আশ্বস্থ করা হয়েছে। ঘর বাড়ি কেন ভাংচুর করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বৃহষ্পতিবারও হামলা মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীর মাথা ফেটেছে। ঐ ঘটনার সুত্র ধরে শুক্রবারের ঘটনা বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে অভিযুক্তদের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চকরিয়া থানার এসআই নাছির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: