ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাঁশখালীতে সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত ১০

বাঁশখালী প্রতিনিধি :: বাঁশখালীতে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিলাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং একজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। গত সোমবার রাতে উপজেলার সরল ইউনিয়নের পশ্চিম কাহারঘোনা পরান সিকদার বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জমি নিয়ে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ঘটনার দিন রাতে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। তা পরে সংঘর্ষে রূপ নিলে দেশিয় অস্ত্র নিলে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে মহিলাসহ ১০ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আশংকাজনক অবস্থায় আহমদ আলীর ছেলে আবুল কাসেমকে (৫৮) চমেক হাসপাতালে এবং ফাতেমা জিন্নাহকে (৪৫) বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আহত আবুল হাশেম (৫৩), আবুল বশর (৫০), আবুল বশরের স্ত্রী সাদেকা বেগম (৪১), মো. জকরিয়া (৪৫), মো. তারেক (২০), মো. এমরান (২০), আব্দুর রহমান (৬২), মো. ওসমান (২৩), হাবিবুর রহমান (৫০) ও মো. আরিফ (২৬) প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. আসিফ চৌধুরী বলেন, ‘সরল কাহারঘোনা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় একজনকে চমেকে প্রেরণ এবং একজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্যরা বাড়ি ফিরে গেছেন।’
স্থানীয়রা জানান, কাহারঘোনা এলাকার শিক্ষক মাওলানা ইব্রাহিম সিকদার অন্যত্র ভাড়া বাসায় চলে যাওয়ায় ভাই আবুল কাশেম সিকদার তার ভিটাবাড়ি দেখাশোনা করে আসছিলেন। ওই বাড়ি সংলগ্ন জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী হাবিবুর রহমান গং এর সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। তা নিয়ে বাঁশখালী থানায় একটি মামলাও রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘কাহারঘোনায় মারামারির খবর পেয়েছি। আগে থেকে জায়গা জমি নিয়ে তাদের একটি মামলা রয়েছে। পূর্বের ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা হতে পারে। এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পাঠকের মতামত: