ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে চার ভাইয়ের হাতে আপন ভাই খুন

নীতিশ বড়ুয়া, রামু :: কক্সবাজারের রামুতে আপন চার ভাইয়ের হাতে খুন হলো আরেক আপন ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিল সোনাইছড়ি এলাকায়। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে বলে জানা গেছে। নিহত কৃষক গোলাম কাদের (৩২) কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিম মনিরঝিল পশ্চিম পাড়ার মৃত আবদুল হাসিমের ছেলে। কৃষক গোলাম কাদের হত্যার ঘটনায় তারই আপন চার ভাই আবদুর রহিম, আবদুর রহমান, আবদুর রহিম ও আবদুন্নবী জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে তথ্য পেয়েছেন বলে জানান, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের। তিনি জানান, পুলিশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে নিহত গোলাম কাদেরের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরে ওই হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর, নিহতের মরদেহ বুধবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক ভাইদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এঘটনায় জড়িত এক ঘাতক ভাইকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টা-১টার দিকে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন চার ভাই মিলে গোলাম কাদেরের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গোলাম কাদের গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষ গোলাম কাদেরকে হামলাকারী চার ভাই মিলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গোলাম কাদেরের মৃত্যূ নিশ্চিত হলে, তারা মৃতদেহ ফেলে হাসপাতাল থেকে সরে পড়ে।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওই এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধেই আপন ভাইদের হাতে খুন হলো কৃষক গোলাম কাদের। স্থানীয় মৃত আবদুল হাসিমের ছয় ছেলের মধ্যে চতুর্থ ছেলে নিহত গোলাম কাদের। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারীর যোগসাজসে বড় ভাই সৌদি প্রবাসী ওসমান গণি, মেঝ ভাই আবদুর রহমান, ছোট দুই ভাই আবদুর রহিম ও আবদুন্নবী এ হত্যাকান্ড ঘটায়। তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহত গোলাম কাদেরের ভাই আবদুন্নবী পার্শবর্তী রাজারকুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজারকুল গ্রামে ঘোরাঘুরি করায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে, আবদুন্নবীকে আটক করে পুলিশের কাছে সৌপর্দ করে গ্রামবাসী। পুলিশের কাছে আবদুন্নবী স্বীকারোক্তি দিলে, বুধবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে নিহত গোলাম কাদেরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৯ নভেম্বর মাত্র তিন মাস পূর্বে নিহত গোলাম কাদের বিয়ে করেছে জানিয়ে ইউপি সদস্য জহির উদ্দিন বলেন, নিহত গোলাম কাদেরে আরেক ভাই মো. আবদুল্লাহ এ ঘটনায় জড়িত ছিলো না। সে মরদেহ দাফনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করছে।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশতাক আহমদ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চার ভাই মিলে একজন আপন ভাইকে হত্যা করেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক। যেহেতু জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ, এ লোমহর্ষক ঘটনায় সম্পৃক্ত আপন চার ভাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি অন্যকারো ইন্দন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তিনি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: