ইমাম খাইর, কক্সবাজার :: কক্সবাজারে চকরিয়ার খুটাখালীতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী মুসলিমা খাতুনের (৭০) চিকিৎসা কক্সবাজার সদর হাসপাতালেই চলছে। এ জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকার করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানোর কথা থাকলেও পাঠানো হচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে চকরিয়া নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, যেহেতু তিনি ভাইরাস যেখানে ছড়ানোর সেখানে ছড়িয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী তার যতটুকু চিকিৎসা পাওয়ার সব এখানেই দেয়া হচ্ছে। আমি নিজেই কিছুক্ষণ পূর্বে চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করে এসেছি।কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমি জানাব।
মুসলিমা খাতুন চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার মরহুম রশীদ আহমদের স্ত্রী।
গত ১৮ মার্চ থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে তার শরীরে করোনা ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিন।
তিনি জানান, গত ১৮ মার্চ মোসলিমা খাতুন সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যেসব ডাক্তার-নার্স তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের সবাইকে কোয়েরেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি তিনি নিজেও কোয়েরেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত মোসলিমা খাতুন গত ১৩ মার্চ দেশে ফিরে চট্টগ্রাম শহরের নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় ছোট সন্তান হারুনের বাসায় অবস্থান করেন। পরদিন ১৪ মার্চ তিনি খুটাখালীর নিজবাড়ীতে ফেরেন। কিন্তু ১৭ মার্চ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কক্সবাজার শহরে আনা হয়। ওইদিন তিনি শহরের টেকপাড়ায় বড় সন্তান, কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সোলাইমানের বাসায় ছিলেন।
১৮ মার্চ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় মোসলিমা খাতুনের সংস্পর্শে আসা সবাইকে পক্ষকালের কোয়েরেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নার্সসহ অন্যান্যরা কোয়েরেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। অধ্যক্ষ সোলাইমানের পরিবারের সদস্যরাও হোম কোয়েরেন্টাইনে রয়েছেন। তবে খুটাখালীতে মোসলিমা খাতুনের সংস্পর্শে আসা আত্মীয়স্বজন এখনও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। খুটাখালীতে মোসলিমা খাতুনের সংস্পর্শে আসায় আরো কয়েকজনের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়ার কথা জানিয়েছে এলাকাবাসী। তবে এখনও কারো বাড়ি লকডাউন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত মোসলিমা খাতুন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমদের মামী।
প্রকাশ:
২০২০-০৩-২৪ ১২:৫১:১৭
আপডেট:২০২০-০৩-২৪ ১২:৫১:১৭
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: