ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখমের মামলা: হাইর্কোটের একবেঞ্চের শুনানী গোপন রেখে অন্য বেঞ্চে জামিনের প্রার্থনা, জেলহাজতে দুই আসামি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার সামসুল আলমের চিংড়িজমি জবরদখল চেষ্ঠার ঘটনার চকরিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার দুই আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিষয়টি   চকরিয়া নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদি সামসুল আলম।

মামলার বাদি সামসুল আলম মেম্বার বলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকায় ভোগদখলীয় ও ক্রয়কৃত চিংড়ি জমি দখলে হামলা চালিয়ে বাদি ও তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় গত ১৮ ফেব্রয়ারী ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা (২২ ও জিআর ৫৬) করেন আহত সাবেক মেম্বার সামসুল আলম।

বাদি সামসুল আলম বলেন, জিআর ৫৬ ও জিআর ৩৮ মামলার আসামি ছাইয়াখালী গ্রামের মৃত ফজল করিমের ছেলে জামাল উদ্দিন ও জালাল উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারী হাইর্কোটের ১২ নম্বর আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবি জুলফিকার আলীর মামলার আগাম নিতে জামিনের প্রার্থনা করেন। ওইসময় শুনানী শেষে আদালতের বিচারক দুই আসামিকে ১৫ দিনের মধ্যে নিন্ম আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

মামলার বাদি বলেছেন, হাইর্কোটের ১২ নম্বর বৈঞ্চের আদেশমতে গত ৯ মার্চ দুই আসামি কামাল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন নিন্ম আদালতে হাজির হবার দিন শেষ হলেও তাঁরা নিন্ম আদালতে হাজির হননি। উল্টো প্রথম আদালতের জামিন শুনানীর বিষয়টি গোপন রেখে তাঁরা সর্বশেষ ১১ মার্চ বুধবার   দুপুরে আইনজীবির মাধ্যমে হাইর্কোটের ৫ নম্বর বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন। ওইসময় মামলার শুনানীর শুরুতে আদালতের বিচারক প্রথম আদালতে জামিন শুনানীর বিষয়টি গোপন রেখে আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে নতুন আদালতে জামিনের জন্য প্রার্থনা করার বিষয়টি আঁচ করতে পারে।

ওইসময় আদালতের বিচারক তাৎক্ষনিক দুই আসামিকে গ্রেফতার পুর্বক প্রতারণার ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নিতে শাহবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ১৯ মার্চ তারিখে আসামিপক্ষের আইনজীবি জুলফিকার আলীকে আদালতে স-শরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেন।##

পাঠকের মতামত: