ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে কথিত সংবাদকর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

নিউজ ডেস্ক ::  কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ায় নিরীহ মানুষকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করার সময় জনরোষের শিকার হয়েছে সংবাদকর্মী নামধারী ৪ প্রতারক। তবে স্থানীয়রা জানান, গণধোলাই কালে তিন চাঁদাবাজ কৌশলে পালালেও একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাত ১১ টায় এ ঘটনা ঘটেছে।

আটক কথিত সংবাদ কর্মী মো. মনছুর আলম মুন্না নিজেকে এমবি টিভির ক্যামেরাম্যান ও একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের জেলা প্রতিনিধি দাবি করেন। রাতে এই চাঁদাবাজকে কক্সবাজার থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ কালে সে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেন ও তার কয়েকজন গডফাদারের নাম প্রকাশ করেন, তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি। এলাকাবাসী জানান, ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল।

বরাবরের মত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সমিতিপাড়াবাসীর রোষানলে পড়ে। জনতার ধাওয়া খেয়ে প্রথম দফায় চাঁদাবাজ দুই যুবক পালিয়ে রক্ষা পায়। পরে রাত ১১ টার চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয় জনতা ৪ জনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। কৌশলে ৩ জনই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে কথিত সংবাদকর্মী মনছুর আলম মুন্নাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ভুক্তভোগী ছাবের সওদাগর, নুরুল আলম, এনামুল, এরফান, সুজন, সেলিম, বাদশা ও সাদ্দাম জানান, সংবাদকর্মী নামধারী একদল যুবক মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে। অবৈধভাবে টাকা নিয়েছে। অনেকে মানসম্মান ক্ষুন্ন হবে ভয়ে টাকা দিয়েছে। মঙ্গলবারও তারা টাকার জন্য এসেছে। আমরা অসহ্য হয়ে আজকে তাদের ধাওয়া করি। তিনজন পালিয়ে গেলে একজনকে আটক করা হয় এবং উত্তম-মধ্যম দিয়ে থানা পুলিশের এসআই তীথংকর এর নিকট তুলে দেয়া হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাসুম খাঁন জানান, মুন্না নামের এক চাঁদাবাজ যুবককে এলাকাবাসী বেঁধে রেখেছে খবর পেয়ে পুলিশের ফোর্স পাঠিয়ে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অপ-সাংবাদিকতার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি কালে জনগনের হাতে ধৃত ও গণপিটুনি শিকার হলে জনরোষ থেকে মুন্নাকে পুলিশ উদ্ধার করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আজ বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: