ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় রেললাইনে মসজিদ করবস্থান একদিনে ৩৭ পুরানো মরদেহ উত্তোলন

চকরিয়ায় পূর্ব ডুমখালী বাইতুল মাকারাম জামে মসজিদের কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে পুরানো লাশ।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় একদিনে একটি কবরস্থান থেকে অনেকবছরের পুরানো ৩৭ ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের পর লাশগুলো কবরস্থানের পাশবর্তী নিরাপদ স্থানে ফের দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্বডুমখালী এলাকার বাইতুল মাকারাম জামে মসজিদের কবরস্থানে ঘটেছে এ ঘটনা।

লাশ উত্তোলনের কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্মানাধীণ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশে বর্তমানে নির্মাণ কাজ চলছে। এরই আলোকে রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহনের আওতায় পড়েছে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্বডুমখালী এলাকার বাইতুল মাকারাম জামে মসজিদের সীমানা বেস্টনী ও কবরস্থানটি। ফলে ওই কবরস্থান থেকে অনেকবছর আগে দাফন করা লাশগুলো উত্তোলনের পর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেন নিহতদের স্বজন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

লাশ উত্তোলনে নিয়োজিত লোকজন জানিয়েছে, স্থানান্তর করা লাশের মধ্যে কয়েকটি ছিল তিন-চার মাস আগের মারা যাওয়া ব্যক্তি এবং বাকিগুলো লাশ গুলো ছিল তারও আগের। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, বিগত দশবছর আগে তার স্ত্রী মারা যান। কবরস্থানটি রেললাইনে পড়ায় তিনি চিহিৃত কবর থেকে মরদেহের কঙ্কাল উত্তোলন করে পাশবর্তী নিরাপদ স্থানে স্ত্রীর মরদেহটি পূনরায় কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী বাইতুল মাকারাম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সম্পাদক মোঃ আবু ছালেক বলেন, আমাদের মসজিদ করবস্থানটি বিগত পঞ্চাশবছর পূর্ববর্তী সময় আগের। আমাদের মসজিদের কবরস্থানটি আশপাশের দু-তিন হাজার লোকজনের দাফনের অন্যতম স্থান। কয়েক যুগ ধরে এলাকায় মারা যাওয়া মানুষজনকে এখানে দাফন করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মসজিদ ও কবরস্থানটি রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে অধিগ্রহনের আওতায় পড়লে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে স্থানান্তর বিষয়ে নোটিশের মাধ্যমে অবগত কনে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে নতুন মসজিদ নির্মাণের অর্থ প্রদান করেছে। কিন্তু অদ্যবদি নতুন কবরস্থান নির্মাণে আশ্বাস দিলেও তাঁরা এখনো কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি। ##

পাঠকের মতামত: