ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ক্ষমতা ও প্রশাসন ম্যানেজেই চলছে উখিয়া,নাইক্ষ্যংছড়ির ইটভাটাগুলো !

উখিয়া প্রতিনিধি ::  স্থানীয় বিট কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেপরোয়া চাদাঁবাজীর সুযোগে উখিয়া ও পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে প্রতিষ্টিত প্রায় ১২ টি অবৈধ ইটভাটার মালিকেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব ইটভাটার মালিকরা শুধুমাত্র প্রশাসনের উপর নির্ভর করে কন্টাকের মাধ্যমে এসব অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসব ইটভাটা মালিকদের মধ্যে রয়েছে ঘুমধুম ইউনিয়নের মেম্বার আবুল কালাম। তিনি মন্ত্রী বীর বাহাদুরের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের সাথে চুক্তিতে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশ্বেই রয়েছে সাগরের ইটভাটা। এ ইটভাটা অবৈধ উপায়ে প্রশাসনের সাথে মাসিক চুক্তিতে চলছে কোন কাগজ পত্র ছাড়া।

এছাড়া রয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান দিপক বড়ুয়া,পলাশ বড়ুয়া,হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ফজল করিম ও রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী ও জেলা আওয়ামীগ নেতা রাজা শাহ আলমের ইটভাটা। এসব ইটভাটার কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও ক্ষমতা ও প্রশাসন ম্যানেজের মাধ্যমেই চলছে অবৈধ উপায়ে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ঘুমঘুম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন অরন্যে ও উখিয়া সীমান্তে গড়ে ওঠা ইটভাটা গুলো চলছে আল্লার ওয়াস্তে। এসব ভাটা সংশ্লিষ্টরা যাকে যেভাবে পারে ম্যানেজ করে অনিয়মাতান্ত্রিক উপায়ে ইট তৈরিরর ফলে এলাকার সার্বিক পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। এমনকি এসব ইট ভাটায় অসাবধানতার কারনে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।

এ নিয়ে আলাপ করে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি আমিমুল এহসান খান জানান, তিনি সাম্প্রতি দুটি ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। তিনি বলেন, এখানে যত ইটভাটা আছে কারও পরিপূর্ন বৈধতা নেই। এসব ইটভাটায় আবারও অভিযানে প্রস্তুতি নিয়া হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি শেখ মো: নাজমুল হুদা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ইট ভাটাগুলো তার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। তবে উখিয়ায় যে সমস্ত ইট ভাটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে, ঐ সব ইটভাটাগুলো কাগজ পত্র ও বৈধতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: