ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া সরকারি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া সরকারি কলেজে তিনদিন ব্যাপী ২০২০ সালের বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য বিষয়ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী।

চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্য রাখেন চকরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পদ্মলোচন বড়ুয়া, অধ্যাপক একেএম সাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক হারুনর রশিদ, প্রভাষক মুজিবুল হক রতন, প্রভাষক ইন্দ্রজিৎ বড়ুয়া, চকরিয়া কোরক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি শওকত হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলেজের সকল শিক্ষকমন্ডলী, পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল উপস্থিত ছিলেন।

বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য বিষয়ক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারী। কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন। পরবর্তীতে সমাপনী দিনে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য মেধানির্ভর শিক্ষার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করতে দেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। এখন অতীতের মতো শিক্ষাঙ্গনে অপরাজনীতি নেই। হলদখলের ঘটনাও নেই। শিক্ষার্থীরা নিরাপদে অবস্থান করে লেখাপড়া করতে পারছে নিজের মতো করে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামীর দেশগড়ার কারিগর নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে লেখাপড়ার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরী করতে কাজ করছেন। তাঁর সদিচ্ছার কারনে আজ শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমানে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। লেখাপড়া করতে সব ধরণের উপবৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবীদের সরকারি চাকুরী নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্পসহ নানা ধরণের প্রনোদনা প্রকল্প। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা নিয়ে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে। নিজেকে আগামীর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরী করতে পারে।

তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার অগ্রগতি সাধনে বদ্ধপরিকর। এখন শুধুই প্রয়োজন শিক্ষক সমাজ ও অভিভাবকমন্ডলীকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালনের। মনে রাখতে হবে লেখাপড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরী করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি চকরিয়ার ইউএনও শিবলী নোমান বলেছেন, আজকের নতুন প্রজন্ম হবে আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। সেই আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মকে লেখাপড়ার মাধ্যমে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ার কাজ করছেন। পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবক উভয়কে এব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোন ভাবে বিপদগামী না হয় সেদিকে অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীকে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে। সেইভাবে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তৈরী করতে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। ##

পাঠকের মতামত: