ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার সুরাজপুরে ৫৭ কোটি টাকার সড়ক নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মনির আহমদ, কক্সবাজার :: কক্সবাজারের চকরিয়ার বরইতলী শান্তি বাজার থেকে কাকারা হয়ে সুরাজপুর- ইয়াংছা সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। সড়কটির নির্মানকাজে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৫৭ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে। সড়কটি নির্মিত হয়ে গেলে পার্বত্য লামা-ফাসিয়াখালী সড়কের চাপ যেমন কমবে তেমনি চট্টগ্রাম মুখি মানুষের দুরত্বও কমবে।এদিকে সড়কটির নির্মাণকাজের শুরুতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রোস্তম শাহরিয়ার, কাকারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ শওকত ওসমান, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম কাজল, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ ও নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরএবি আরসি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বরইতলী শান্তি বাজার থেকে জিদ্দাবাজার-বাদশাহর টেক-মাঝেরফাঁড়ি-সুরাজপুর-ইয়াংছা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সড়কটি পুনরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটির প্রশস্থতা হবে ১৮ ফুট। সড়কে কার্পেটিং করা হবে মেশিনের মাধ্যমে দুই ইঞ্চি পুরুত্বের। এতে সর্বোচ্চ ২০ টন ওজনের গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধ্বস ঠেকাতে টেকসই আরসিসি প্রটেক্শন ওয়াল নির্মাণ করা হবে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ৫৭ কোটি টাকার একাজটিতে একটি শর্তও মানা হচ্ছে না সিড়িউল। আরসিসি ওয়ালের দেখা নেই প্রয়োজনীয় স্থানে, সুরাজপুরের ৩ শত ফুট উঁচু বাদশাঘোনা পাহাড় কেটে রাস্তার মাটি ভরাট হচ্ছে। ২০ টন ওজনের গাড়ি চলাচলের উপযোগী করার কথা থাকলেও কম্পেক্ট করা হচ্ছে ছোট রোলার গাড়ী দিয়ে।

ফলে রাস্তায় ২০ টন তো দূরের কথা ১০ টনের গাড়ী চললেও দেবে যাবে সড়ক। সড়কে কাজ করার সময় পানি দেবার কথা থাকলে ও দুই দিনে দেয়া হয় একবার। হাটু পরিমান ধুলা-বালিতে আচ্ছন্ন প্রায় সড়ক।

একটি সুত্র জানায়, কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চকরিয়া অফিসের জনৈক উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বাড়ী চকরিয়ায় হওয়ায় সওজ’র প্রতিটি কাজে তার আত্মীয় স্বজনকে ব্যবহার করে ঠিকাদারের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে শেয়ারে ঠিকাদারীতে কাজে জড়িত থাকেন তিনি। ফলে সড়কের কাজের দেখভাল করার দ্বায়ীত্ব নিয়ে যত দূর্নীতি-অনিয়মকে তিনিই নিয়মে পরিণত করে চলেছেন।

সুরাজপুর -মানিক পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রুস্তম শাহরিয়ারসহ অসংখ্য আওয়ামীলীগ নেতা চকরিয়া নিউজকে জানান, ৫৭ কোটি টাকার রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ হচ্ছে বাদশাহ ঘোনার পাহাড় কেটে।

কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে সু উচ্চ বাদশাহ ঘোনা পাহাড়টি কেটে রাস্তা তৈরীর মাটি বিক্রী করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

পাহাড় কাটা আইনত দন্ডনীয় হলেও মানছেনা প্রভাবশালীরা। এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিরা পাহাড় কাটা বন্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: