ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন

ভোট হবে ইভিএমে ।। মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি ।। আজ গণবিজ্ঞপ্তি জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মার্চ। ঢাকার দুই সিটির মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও এবার প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। এদিকে নির্বাচন কমিশন ৭১৯টি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৬১তম সভায় ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এই তফসিল ঘোষণা করেন। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ মার্চ। ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন। ৮ মার্চ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর ৯ মার্চ চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ২৯ মার্চ রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হবে।
চসিক নির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিস প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি সোমবার (আজ) জারি করব। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম পাবেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখন পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু হবে। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান আজাদীকে বলেন, চসিক নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছি। ভোট কেন্দ্রগুলো পরির্দশন করে ৭১৯টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন এই তালিকায় আগামী ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। যেহেতু ইভিএমের নির্বাচন, তাই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এবার কেন্দ্রও বেড়েছে।
এদিকে, চসিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত শনিবার তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওইদিন সন্ধ্যায় দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীকে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে চসিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন এবং নারী ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন। এবার প্রায় দেড় লাখ ভোটার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি শপথ নেন ৬ মে। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতায় মেয়রের দায়িত্ব নেন ওই বছরের ২৬ জুলাই। আইন অনুযায়ী ৫ আগস্টের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: