ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী উৎসব উদযাপন

শাহীন মাহমুদ রাসেল ::  কক্সবাজার সদর উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তিতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ‘রজত জয়ন্তী’ উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বেলা সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিদ্যালয়ের মূল অনুষ্ঠানস্থলে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।

এর আগে সকালে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত, সুবর্ণ জয়ন্তী পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তির শুভ উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সমাজ তখনই উন্নত হয়, যখন সেখানে শিক্ষিত আলোকিত মানুষ থাকে। আমরা যদি প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করি তবে আমাদের সমাজে জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস ও বেকারত্ব থাকবে না। যারা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য অবদান রেখেছে। এই আয়োজন তাদেরকে সম্মানিত কারার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি আরোও বলেন, গৌরবের ২৫ বছর শ্লোগানের সঙ্গে মিল রেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহুমুখী কর্মপন্থা হাতে নিয়েছেন। এর বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার উন্নয়নের আরেকটি নতুন মাত্রা যোগ হবে। দুই কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি ভবন বরাদ্দ দিয়ে আরোও উন্নীত করার ঘোষণা দেন তিনি।

সভায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এর সভাপতি এনামুল হক সভাপতিত্ব করেন। এসময় তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয় থেকে তাদের কাঙ্খিত শিক্ষা শেষ উচ্চশিক্ষার প্রায় ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, অতীতে এ স্কুলে ভালো ক্লাস রুম ছিলনা। শিক্ষকসহ নানা সংকট ছিলো। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমে সব সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব

(মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) মোমিনুর রশিদ আমিন, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (আরবী বিভাগ) ড.যুবায়ের মুহাম্মদ এহসানুল হক, কক্সবাজার সরকারী কলেজের অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েল, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সভায় বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শ্রেণি পেশার মানুষ রজত জয়ন্তীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন। সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত বিভিন্ন পেশার সাবেক ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহন করে শৈশব বিজড়ীত স্কল প্রাঙ্গনে মহামিলন মেলায় একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আযোজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতিতে অবদান রাখায় ১৪৬জন কে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতাদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে মিলন মেলায় পরিণত হয় ‘রজত জয়ন্তী’ উৎসব।

পাঠকের মতামত: