ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ

উখিয়া প্রতিনিধি ::  উখিয়ায় সোনালী ব্যাংক শাখায় ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে সেবার মান নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ম্যানেজার মঈনুল হাসান সৌরভের দাম্ভিকতা ও গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, অপ্রত্যাশিতভাবে ম্যানেজার পদে পদায়ন হয়ে সোনালী ব্যাংক শাখা যোগদান করে মঈনুল হাসান সৌরভ। গত দুই বছর যাবৎ একই পদে আদিষ্ট থাকায় তার তার বিরুদ্ধে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কমিশন বাণিজ্য সহ গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ। তিনি নিজেকে ব্যাংকের উপর মহলের আস্থাভাজন ও ক্ষমতাধর ব্যক্তির নিকটতম আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ইচ্ছামত দায়িত্ব পালন করছে। কথায় কথায় গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার তার যেন স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও এলসি একাউন্টে ব্যবসায়ীদের নামে ঋণ মঞ্জুরের নামে মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যারা দাবীকৃত কমিশন দিতে পারেনা তাদেরকে ঋণ প্রদান করা হয় না। গুরুতর অভিযোগ করছে ঠিকাদার ও চাকরিপ্রার্থীরা ব্যাংক ড্রাফট , পে অর্ডার এবং সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিতে গেলে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকে অসংখ্য গ্রাহক টাকা জমা ও নগদ উত্তোলন করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগী ও বিড়ম্বনার শিকার অনেকেই বিষয়টি অবহিত করলে ম্যানেজার মঈনুল হাসান সৌরভ উল্টো গ্রাহকদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। এমনকি তিনি উত্তেজিত ভাষায় দাম্ভিকতার সহিত গ্রাহকদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে ধমক দেন।
গ্রাহক আব্দুল কুদ্দুস ও সোনা আলী অভিযোগ করে বলেন ব্যাংকে গ্রাহকদের সেবার মান নেই বললেও চলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা এবং লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও ব্যাংক কর্তাদের খামখেয়ালিপনা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে আজ নাজুক পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ফলে টাকা উত্তোলন ও জমা দেওয়া অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ম্যানেজার ব্যাংকে যোগদান করার পর থেকে সেবার মান সর্বনিম্ন তলানিতে চলে গেছে। ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা ইচ্ছামত দায়িত্ব পালন নিয়ে গ্রাহকরা পদে পদে নাজেহাল হতে হচ্ছে। অনেক গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের একাউন্টে নিজস্ব জমানো টাকা আমরা উত্তোলন করতে গেলে অনেকটা অসহায়ত্বের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। ব্যাংকে কর্তব্যরত কর্তাব্যক্তিদের আচরণ ও ভাবসাব দেখে মনে হয় তাদের নিকট হতে টাকা হাওলাত চাইতে গেছে গ্রাহকরা।
কেউ প্রতিকার চাইতে গেলে উল্টো ম্যানেজারের দাম্ভিকতা ও দুর্ব্যবহারে শিকার হতে হয় গ্রাহকদেরকে। এই হচ্ছে উখিয়া সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক সেবার মান। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ম্যানেজার মঈনুল হাসান সৌরভ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ও গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহারের বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: