ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড: ভুয়া বিলে ওভারটাইমের টাকা আত্মসাৎ, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্রগ্রাম ::  ভুয়া বিলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবার অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এর আগে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীদের ওভারটাইমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যার বিষয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের একটি টিম সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি যাচাই-বাছাইও করেন। একই সাথে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন নথি-পত্রও জব্দ করেন দুদক টিম।

দুদক জানায়, আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের ওভারটাইমের বিল পরিশোধ না করে কিছু কর্মকর্তা ভুয়া বিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যায় দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬ এ। যার বিষয়ে খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে গত সপ্তাহে একটি চিঠি ইস্যু করেন। পরবর্তীতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রিন্ট সংশোধন, ওএমআর, ছবি স্ক্যানিং, অনলাইন নাম সংশোধন, টেবুলেশন প্রিন্ট, সনদ ও নম্বরফর্দ প্রিন্ট সংক্রান্ত কাজে ১৪ কর্মচারী নিয়োজিত ছিলেন। যারা সকাল থেকে রাত ১২ পর্যন্ত কাজ করতেন। কিন্তু এসব কর্মচারীর ওভারটাইম বাবদ যে টাকা পাওনা ছিল তা তাদের পরিশোধ না করে বিল তৈরি করে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, এসব অভিযোগ জানতে গতকাল বুধবার দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম শিক্ষাবোর্ডে যায়। সেখানে বোর্ড চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন। একই সাথে বিলের কপিসহ আউটসোর্সিংয়ের নিয়োজিত সকল কর্মচারীর তথ্যও সংগ্রহ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিল পরিশোধ না করেই ভুয়া বিলের মাধ্যমে এসব অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক টিম সুপারিশ করবে। একই সাথে এসংক্রান্ত বিষয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে। প্রধান কার্যালয়ের নিয়ম অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুপুরে দুদকের একটি টিম অফিসে আসেন এবং কিছু তথ্য চেয়েছেন। তাদের চাওয়া মোতাবেক সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে’।

পাঠকের মতামত: