ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় অবৈধ টোল-টেক্স আদায় বন্ধ ও ন্যায্য মূল্যে সারের দাবীতে কৃষকদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় হাট-বাজারবিহীন নিয়মবহির্ভূতভাবে কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচা পন্যের উপর টোল-টেক্স (হাছিল} আদায়, সরকারি মূল্যের চাইতে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি এবং আসল সারের নামে কৃষকদের কাছে ভেজাল সার বিক্রির প্রতিবাদে এবং ন্যায্য মূল্যে সারের দাবীতে ১২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে চকরিয়া পৌরসভার ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের শতশত দরিদ্র কৃষক পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষুদ্ধ ও প্রতিবাদী কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্বারকলিপি দিয়েছে কৃষকরা।

বিক্ষোভ প্রদর্শনরত কৃষকরা চকরিয়া নিউজকে জানান, তারা অনেক কষ্ট করে ফসল ফলান। উৎপাদিত ফসলাদি চকরিয়া পৌরসভার কিচেন মার্কেট কাচা বাজারের আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন এবং তাদেরকে (আড়তদারদের) কমিশনও দেন। এরপরও বিক্রির কাচা পন্যের উপর পৌরসভার নাম দিয়ে অন্যায়ভাবে টোল-টেক্সের নামে (হাছিল) । অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। অথচ সেখানে কোন ধরণের হাট-বাজারও বসেনা। অপরদিকে উৎপাদিত ফসলাদি নিজেদের চাষাবাদী জমিতে বিক্রয় করলেও একটি অসাধু মহল সেখানেও হাছিলের নামে প্রতিনিধি পাঠিয়ে অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করেন। যা নিয়ে সাধারণ কৃষকরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। অন্যদিকে পৌরসভা ১নং, ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের খুচরা সার ডিলার সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেজি প্রতি ৪/৫টাকা করে সারের দাম বেশি নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে কৃষকদের সার দেয়া হয়না। একইভাবে সরকারি সারের পাশাপাশি কৃষকদের মাঝে বিক্রয় করা হচ্ছে ভেজাল সার। যার কারণে কাংখিত ফসলাদি উৎপাদিত হচ্ছেনা। এসব বিষয়ে স্থানীয় ভূক্তভোগী শত শত কৃষক বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ প্রতিবাদ সভা করেন। দাবী বাস্তবায়নে চকরিয়া পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমএ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ কৃষকদের দাবীর প্রতি একমত পোষন করেছেন। তারা প্রশাসনকে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, কৃষকদের দাবী-দাওয়াসহ স্বারকলিপি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকদের হয়রানী কিছুতেই মেনে নেওয়া হবেনা। কৃষক হয়রানীতে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যে সরকারি সার পেতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: