ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে যত্রতত্র স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি : চরম ঝুঁকিতে মানুষ

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::  সদরের ঈদগাঁওসহ বৃহত্তর এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। মুদি দোকানসহ হরেক রকমের দোকানেও চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিকিকিনি।
সরেজমিনে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্তত দুই শতাধিকের মত দোকানে দেদারছে চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি।
সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে।
গুটি কয়েক দোকানে এসব কিছু থাকলেও অধিকাংশ দোকানপাঠে নেই এসব। তারপরেও আইনকে তোয়াক্কা না করে সিলিন্ডার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকে। বহুগ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের নেই লাইসেন্স।
শমশুল আলম নামের এক ব্যাক্তি জানিয়েছেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দেয়া দরকার। নজরদারি না থাকার কারণে যত্রতত্র চলছে গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সচেতন লোকজন জানান,গ্যাস বিক্রি করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স,বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবেনা। বর্তমানে বৃহৎ এ ঈদগাঁও বাজারসহ গ্রামীন জনপদের অসংখ্য দোকানে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গ্যাস সিলন্ডার বিক্রি চলছে। দেখার যেন কেউ নেই। তদারকি পূর্বক এসবের বিরুদ্বে বিহীন ব্যবস্থার দাবী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতার সাথে এ প্রতিবেদককের কথা হলে তিনি জানান, করতে হবেনা লাইসেন্স। আমরা তো বড় মাপের গ্যাস বিক্রেতা নয়। পরিশেষে লাইসেন্স করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষের বিশেষ তদারকির দাবী করেন এলাকার সচেতন জনগোষ্টি।

পাঠকের মতামত: