ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাঁকখালী নদী খননের নামে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, ঝুঁকির মুখে জনপদ

মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক, রামু ::
রামু-কক্সবাজারবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে ড্রেজিং এর কাজে চলছে দুর্নীতি ও অনিয়ম। নদী খননের আড়ালে করা হচ্ছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা আরো ঝুঁকির মুখে পড়ছে। -অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওয়েস্টার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে কাজটি পায়। কিন্তু আড়ালে চলছে শতকোটি টাকা হরিলুট। যাতে প্রধানমন্ত্রীর মহৎ প্রকল্পটি কলুষিত করছে একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, বাঁকখালী নদী খননের নির্দিষ্ট ম্যাপ থাকা সত্ত্বেও যেখানে বালি সেখানেই চলছে খনন। নদীর পাড় নয়, বরং বালি খনন বা উত্তোলনের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প বাঁকখালী নদী ড্রেজিং এবং রক্ষাবাধ প্রকল্পের নামে চলছে অনিয়ম। যে কারণে আগামী বর্ষা মৌসুমে জনসাধারণের বসবাস, চাষবাস এবং বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এভাবেই নদীর পাড় খনন করতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বন্যাসহ পুরো রামু কক্সবাজারবাসী হুমকির মুখে রয়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, বালি উত্তোলনের কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় লম্বরীপাড়া ঘাটঘরস্থ রাজারকুল এলাকায় আরো একটি নতুন নদী সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পাড়গুলো পুকুরে পরিণত হচ্ছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প বাঁকখালী নদীর ড্রেজিং এবং রক্ষাবাঁধের জন্য ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গেল ২০১৭-১০১৮ অর্থ বছরের বাজেট থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ওয়েস্টার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং এই কাজটি পেয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি সরেজমিনে যাব। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার আলী রেজার কাছে অনিয়ময়ের বিষয় জানতে ০১৮৪৮…২৬৪ নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া মেলে নি।

পাঠকের মতামত: