ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

লামা ফাঁসিয়াখালী ইউপি সচিবের ক্ষমতার জোর কোথায় ?

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া : বান্দরবানের লামা উপজেলার ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. শহীদ হোসাইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম তাকে গত ৫ জানুয়ারী তাকে বান্দরবান সদর উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদে বদলী করেন।

গতকাল এলাকাবাসীর পক্ষে চকরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে এক অভিযোগে দাবী করা হয়েছে, সচিব শহীদ হোসাইন গত ৮ বছর ধরে সচিব হিসেবে ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত থেকে অবৈধ পন্থায় পরিষদের নামে সরকারী ভাবে বরাদ্দ আসা টিআর-কাবিখা ও ভিজিডির চালসহ বিভিন্ন অনুদান তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত বগাইছড়ি রাজ্জাকিয়া এতিমখানা ও রাজ্জাকিয়া ফাউন্ডেশনসহ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে আসছেন। যা অতীতের বরাদ্দ প্রাপ্তির রেকর্ডপত্র যাচাই- বাচাই করা হলে এ অনিয়ম ও দূর্নীতির রহস্য উৎঘাটন সম্ভব বলে এলাকার সচেতন জনগন দাবী করেছেন। উল্লেখ্য যে, তার এক বড় মোহাম্মদ হোছাইন মামুন একই পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হওয়ায় সচিব শহীদ হোসাইন অনিয়ম ও দূর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারী তাকে জেলা প্রশাসক বদলীর করার পরও তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে এখনো স্ব এলাকায় বহাল তবিয়তে থাকায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও অশান্তি বিরাজ করছে। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেছেন, ওই সচিব নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে স্ব স্থানে বহাল থাকার জন্য নানা প্রকার তৎবির শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাঠকের মতামত: