ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে ওয়াটার বাস চালু: ২০ মিনিটে বিমানবন্দর, সময় বাচঁবে দেড় ঘন্টা

তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম :: চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নৌপথে ওয়াটার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাতটায় ওয়াটার বাস চলাচল শুরু হয়। অভ্যন্তরীণ আকাশপথে উড়োজাহাজের সময়সূচি অনুযায়ী ওয়াটার বাস চলাচলের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওয়াটার বাস পরিচালনাকারী সংস্থা এসএস ট্রেডিং জানায়, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন সদরঘাট থেকে সকাল ৭টা, ৮টা, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট, বেলা ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টায় পাঁচটি ওয়াটার বাস পতেঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ফিরতি পথে পতেঙ্গা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা, বেলা সাড়ে ১১টা, বেলা ২টা ২৫ মিনিট, বিকেল সাড়ে ৪টা ও রাত ৯টা ১৫ মিনিটে সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। প্রতিদিন ১০ বার আসা-যাওয়া করবে ওয়াটার বাস। বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে পতেঙ্গা থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে তারা। পরিচালনাকারী সংস্থা এই রুটে শুরুতে ভাড়া নির্ধারণ করেছিল জনপ্রতি ৪০০ টাকা। তবে এখন তা কমিয়ে ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

ওয়াটার বাস পরিচালনায় নিয়োজিত এসএস ট্রেডিংয়ের অপারেশনাল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, প্লেনের যাত্রীদের ৩০ মিনিটের মধ্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। রাজপথে যে ধুলোবালি, যানজট তা থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদ ও দ্রæততম সময়ের মধ্যে আমরা সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর পৌঁছে দিচ্ছি। প্রতিটি এসি ওয়াটার বাসে ২৫ জন বসার ভিআইপি আসন রয়েছে। লাগেজ রাখা, ওয়াইফাই সুবিধা, পতেঙ্গা টার্মিনাল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত শাটল বাস সব মিলে যাত্রীরা খুশি।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ওয়াটার বাসের ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। ২০ মিনিটে সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পৌঁছাতে পারছি আমরা।

এসএস ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বাব হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে দুটি ওয়াটার বাস নামানো হয়েছে। জানুয়ারিতে যুক্ত হবে আরও দুটি। এ ছাড়া এই নৌপথে নতুন নতুন সেবা যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নদীপথে ২০ মিনিটে সদরঘাট থেকে পতেঙ্গায় পৌঁছানো গেলেও সড়কপথে পতেঙ্গায় পৌঁছাতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। আর যানজট বেশি হলে তা তিন থেকে চার ঘন্টাও লেগে যায়। গত মৌসুমে যানজটের কারণে হজযাত্রী ও বিমানযাত্রীরা অনেকেই ফ্লাইট ধরতে পারেননি। এখন বিমানবন্দর সড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের পরিধি যত বাড়ছে, ততই সময়ও লাগছে বেশি।

পাঠকের মতামত: