ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

৩০০ পরিবার থেকে ঘুষ নেন চট্টগ্রাম ডিসি অফিসের দুই কর্মচারীদুদকের তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলএ শাখার চেইনম্যান নজরুল ইসলামসহ তার সহযোগী তসলিম উদ্দিন। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর মালিকানাধীন দোকান ও তার শ্যালিকার অ্যাকাউন্টে অবৈধ অর্থ লেনদেনসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদকের ৩দিনের রিমান্ড শেষে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরোয়ার জাহানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার চেইনম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত। অপরজন হলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গোপনীয় শাখার অফিস সহায়ক সহযোগী তসলিম উদ্দিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত ৫ ডিসেম্বর আদালতে আবেদনের ভিত্তিতে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় গ্রেপ্তারকৃত নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগী তসলিম উদ্দিনকে। দুদকের রিমান্ডে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারের কাছ আর্থিক ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছে দুদক। এছাড়া জিজ্ঞসাবাদে তাদের দুজনের কাছ থেকে অবৈধ উৎস লেনদেনের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত দুজনের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর নগরের ষোলশহর ‘চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স’ ২য় তলায় ‘আনুকা’ নামক দোকানে এলএ শাখার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে চেইনম্যান নজরুল ইসলামসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যেরা। এ সময় ঘুষ নেওয়া নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকাসহ ৯১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার ১২টি চেক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া নজরুল ইসলাম ও স্ত্রীর ৫টি ব্যাংকের হিসাব শাখায় ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৬ টাকা জমা করা হয়। ওই অর্থের বিপরীতে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৮ টাকা ভোগ-দখলে রাখায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

পাঠকের মতামত: