ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

‘পার্বত্য ভূমিকে নিয়ে প্রতিমুহুর্তে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ

তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম ব্যুরো ::  ৩০ লক্ষ শহিদের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। তারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর পার্বত্য ভুমিকে নিয়ে প্রতিমুহুর্তে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতার কারনে সমস্যা আরো বেড়ে যায়। সবুজ পাহাড়ে প্রতিমুহুর্তে রক্তের গন্ধ। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অশান্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ।

শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর আতœপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের সকল পদক্ষেপকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলগুলো জ্বালাও পোড়াও, মানুষ খুন, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। প্রধান মন্ত্রী দূরদর্শীতায় ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। শান্তিবাহিনী আতœসমর্পন করলেও কিছু অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের সশস্ত্র তৎপরতা অব্যাহত রাখে। প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের জন্ম দিচ্ছে তারা। যার ফলে পার্বত্য চুক্তির সুফল হতে বঞ্চিত হচ্ছে পার্বত্যবাসী।

পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন চারটি সংগঠন বিভিন্ন অপকর্মে জনজীবন বিপন্ন করে তুলেছে উল্লেখ করে আবু তাহের আরো বলেন, এলাকায় আধিপাত্য বিস্তারের দ্বন্ধ নিজেরাই সৃষ্টি করে পাহাড়ের পরিবেশ আরো ঘোলাটে করে তুলেছে। তাদের এই হিং¯্রতা ও নিপিড়নের বলির পাঠা হচ্ছেন সাধারন মানুষ। ফলে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙ্গালী কেউ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার সদস্যগণ যারা দায়িত্ব পালন করতো বিচ্ছিন্ন এই সংগঠনগুলো ষড়যন্ত্রের কারনে বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সেনা ক্যাম্প গুটিয়ে নিয়েছে। আর এ সুযোগে তারা পাহাড়িদের ওপর ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। প্রতিনিয়ত সবুজ পাহাড়ে ঝরছে রক্ত। আমরা চাই এই ষড়যন্ত্র বন্ধ হোক। পাহাড়ে চাইনা আর তাজা রক্ত। একনই সময় এসেছে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আহবায়ক আলকাছ আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আলমগির কবির, সদস্য সচিব এস এম মাসুম রানা, যথাক্রমে কাজী মুজিবুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, এড. পারভেজ তালুকদার, ইঞ্িিনয়ার লোকমান হোসেন প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: